শ্রীলঙ্কার পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান, রেকর্ড দাম বাড়ল পেট্রোলের
পেট্রোলের দাম হু হু করে বাড়ছে পাকিস্তানে
ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান। আকাশ ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। এক ধাক্কায় ৩৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর বাড়ছে পেট্রোলের দাম। ২৯ তারিখ সকাল ১১টা থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান। আকাশ ছোঁয়া িজনিসের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম অবস্থা হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান সরকারের।
আকাশ ছোঁয়া পেট্রোলের দাম
শ্রীলঙ্কায় বিক্রমসিংহের পতনের আগে যেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেরকমই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে। পেট্রোলের দাম হু হু করে বাড়ছে। শ্রীলঙ্কায় যেমন ১০০০ টাকা লিটার হয়ে গিয়েছিল। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এবার ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও সেদিকে এগোতে শুরু করেেছ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। গতকাল এক লাফে লিটার প্রতি ৩৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে পেট্রোেলর দাম। ডিজেলের দাম বেড়ে গিয়েছে ১৮ টাকা। পেট্রোল প্রায় ৩০০ টাকা লিটার হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। ডিজেলও ২৫০ টাকার কাছাকাছি। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেরোসিন তেলের দামও।
কালোবাজািরর জেরেই দাম বৃদ্ধি
ভারতে একটা সময়ে যখন ১০০ টাকা লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম যাচ্ছিল সেসময় কিন্তু পাকিস্তানে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা লিটার প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছিল পেট্রোল। এই নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছিলেন বিরোধীরা। ভারতে পেট্রোলের দামে স্থিতাবস্থা ফিরে এসেছে এখন। কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা সংকটজনক হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানে পেট্রোলের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে কালো বাজারি। ইচ্ছাকৃত ভাবে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে পেট্রো পণ্যেরও। সব জিনিসের দামই বাড়তে শুরু করেছে।
দেউলিয়া দশা
দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। তার উপরে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে পাকিস্তানকে। এই সংকট জনক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে যাচ্ছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা পাকিস্তানে থাকবেন। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। তারপরেই পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ।
ভারতের সাহায্য চাইছে পাকিস্তান
দায়ে পড়ে শেষে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাদ শরিফ কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মোদী সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে কোনও বার্তা পাকিস্তানকে পাঠানো হয়নি। এক দিকে দেউলিয়া সরকার আরেকদিকে পাকিস্তান বিরোধি স্লোগানে তোলপাড় গোটা দেশ তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে।
বাজেট ২০২৩: ১ তারিখ বাজেট, মোদী সরকারের কাছে কি চাইছে আমজনতা?