পাকিস্তান জঙ্গিমদতকারী দেশ! ব্রিকসের প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
চিনের শিয়ামেনে ব্রিকস সামিটে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসের নিন্দা করা হয়। শুধু নিন্দা করেই ক্ষান্ত থাকেনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা, তারা প্রস্তাবও নেয় জঙ্গি মদতকারী দেশগুলির বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক চাপে শেষপর্যন্ত ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানকে জঙ্গিমদতকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ঘোষণাকে সমূলে খারিজ করে দিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের সাফ কথা এ দেশের মাটি কখনই জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল নয়। পাকিস্তান কখনও জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ সমর্থন করে না। পাকিস্তানের বদনাম করার জন্যই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে ব্রিকস সম্মেলনে। মঙ্গলবার এই প্রস্তাবের নিন্দা করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীর।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পরিষদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন, 'আমরা ব্রিকস সম্মেলনে ঘোষিত প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দেশের মাটিতে জঙ্গিদের কোনও নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা নেই। পাকিস্তান সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। যে সমস্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাদের বিরুদ্ধেও বর্তমানে কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকার।'
চিনের শিয়ামেনে ব্রিকস সামিটে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসের নিন্দা করা হয়। শুধু নিন্দা করেই ক্ষান্ত থাকেনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশগুলি একযোগে সিদ্ধান্ত নেয়, কিছু দেশে কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন ঘাঁটি গেড়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সংগঠনগুলি। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে তিনটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় বলে প্রস্তাব করা হয় এই সম্মলনে।
৪৩ পাতার এই ঘোষণাপত্রে তালিবান, আইএসআইএস, আল-কায়েদা, পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী মুভমেন্ট, মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর-ই-তৈয়বা, জয়েশ-ই-মহম্মদ, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং হিজবুত তাহরীর নাম উল্লেখ করা হয়। পাকিস্তান ভিত্তিক তিনটি জঙ্গি সংগঠনের নাম রয়েছে। তা নিয়েই পাকিস্তানের আপত্তি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, এই তালিকায় অন্যান্য দেশেরও নাম রয়েছে। অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের নাম করা হয়েছে। তবু সেইসব দেশগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে না। টার্গেট করা হচ্ছে একমাত্র পাকিস্তানকে। এমনকী লস্কর-ই-তইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নাম থাকাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দিল্লির বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে তুলে ধরে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এদিন নিশানা করা হয় আফগানিস্তানকে। পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, 'ও দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গা জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে রয়েছে। ৪০৭টি আফগান জেলা ও দেশের সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাকিটাই জঙ্গি অধ্যুষিত।'