পাকিস্তান কীসের ভয়ে জঙ্গিনেতা মাসুদকে কোন ডেরায় সরিয়েছে রাতারাতি! পুলওয়ামা-চক্রীকে নিয়ে বড় পদক্ষেপ
ভারতের হাতে এসেও , তাকে ছাড়তে হয়েছে একবার। কাশ্মীরে বহু বছর জেলবন্দি থাকা মাসুদকে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ভারত। আর তারপর থেকে পাকিস্তানে বসে এই বিশ্বসন্ত্রাসবাদী ভারতে রক্তক্ষয়ী একের পর এক হামলার ছক কষে চলেছে। পুলওয়ামায় ২০১৯ সালে ৪০ জন জওয়ানের নারকীয় হত্যাকাণ্ড তার অন্যতম উদাহরণ। সেই বিশ্বত্রাস হয়ে ওঠা জঙ্গি মৌলানা মাসুদকে এবার পাকিস্তান ফের গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়েছে।
কোথায় রয়েছে মাসুদ!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ করে মাসুদ আজহার দাবি করেছিল যে মার্কিনীরা 'এমন এক ভেড়া যার লেজ কেটে দিয়েছে' তালিবানরা। আফগানিস্তানে তালিবান-মার্কিন সম্পর্কের নতুন পরিস্থিতি নিয়ে এই মন্তব্য করে জঙ্গি নেতা। আর পাকিস্তানে বসে জঙ্গিনেতার এহেন বক্তব্যের পর মাসুদকে রাতারাতি অন্য ডেরায় সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
কোথায় নেওয়া হয়েছে মাসুদকে!
জানা গিয়েছে, জইশ প্রধান মাসুদকে রাতারাতি বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি হেডকোয়ার্টার থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে। শুধু মাসুদ একা নয়, সঙ্গে রয়েছে তার ভাই মৌলানা রউফ ও মৌলানা অম্মার। রাওয়াল পিন্ডির গোপন ডেরায় মসুদকে সরানোর পিছনে কোন কোন উদ্দেশ্য পাকিস্তানের থাকতে পারে,তা আপাতত খতিয়ে দেখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
কেন রাতারাতি আজহারকে 'সেফ জোন'?
প্রসঙ্গত, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সেনা প্রধান কাশেম সুলেমানিকে ড্রোন হামলায় নিকেশ করতে পারে,সেই মার্কিনীরা যে এমন সন্ত্রাসবাদীর কটাক্ষের জবাবে তাকে নিধন করবে না, তা কে বলতে পারে! আর সেই জল্পনা থেকেই পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডিতে আজহারকে সরিয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা ভারতীয় গোয়েন্দাদের। মূলত, আফগানিস্তানে তালিবান জঙ্গিদের একটা বড় অংশকে চালনা করত মাসুদ। আর যেখানে মার্কিন-তালিবান শান্তি চুক্তি হয়েছে, সেখানে মাসুদের ক্ষেত্রে নিরাপত ডেরা খোঁজা আপাতত মুশকিল! সেই জন্যই এমন ডেরা বদল বলে মনে করা হচ্ছে।
FATF ও পাকিস্তানের 'খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তত্ত্ব'
কয়েকদিন আগেই সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের দায়ে , আর্থিক নজরদারি সংস্থা FATF পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভূক্ত করে। আর তার আগে মাসুদের মতো সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে FATF এর কাছে পাকিসতান পেশ করে একাধিক ভুয়ো তত্ত্ব। পাকিস্তান জানায় বিশ্বসন্ত্রাসবাদী মাসুদকে তারা 'খুঁজে পাচ্ছে না।' যার পরদিনই ভারত জানিয়ে দেয় যে তখন মাসুদ জইশ হেডকোয়ার্টায় পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের গোপন ডেরায় রয়েছে। যা অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় ভারতের।