৫০০ শতাংশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের জেরে পদপিষ্টের ঘটনা পাকিস্তানে
৫০০ শতাংশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের জেরে পদপিষ্টের ঘটনা পাকিস্তানে
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০০ শতাংশ আবার মুরগির দামও আকাশছোঁয়া। তারপর বাজারে মিলছে না আটা-ময়দা। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। আর তার জেরে ঘটে গিয়েছে পদপিষ্টের ঘটনা। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তার প্রভার পড়ছে পাকিস্তানের বাজারে।
শুধু যে পেঁয়াজের দাম ৫০১ শতাংশ বেড়েছে তা নয়, চাল, ডাল গমের মতো শস্যের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তার উপর বাজারে মিলছে না শস্যদানা। তার ফলে তাড়াহুড়োতে ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পকেটে টান পড়েছে পাকিস্তানবাসীর।
২০২২ সালে ব্যাপক বন্যার পর থেকে খাদ্যসংকট তীব্র হয়েছে। বাজারে মূল্যস্ফীতিও সাংঘাতিক। ২০২২-এ পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৬.৭০ টাকা। ৫ জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ৬১ শতাংশ বেড়েছে ডিজেলের দাম, পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১২.৩ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ২৪.৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের সংকটের কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি বলে জানানো হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১.৭ শতাংশ আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনগুণ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩২.৭ শতাংশ।
পাকিস্তান খুচরো বাজারে সমস্যার সম্মুখীন তো হচ্ছেই দেশটিক অর্থনৈতিক হাল দিন দিন খারাপ হতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ এক বছরে নেমে এসেছে অর্ধেক। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা মাত্র ১১.৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আর এই বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশের পক্ষে।
এদিকে ব্যাপক খাদ্য সংকটের ফলে দেশের বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
গমের আটার দাম আকাশছোঁয়া। তা সত্ত্বেও খাদ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান রুটি তৈরির উপকরণ গমের খোঁজে বাজারে বাজারে ভিড় বাড়ছে। আদার দাম ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি পাকিস্তানের বাজারে। দেশের বিভিন্ন বাজারে ১০ কেজি গমের দাম ১৫০০ টাকা এবং ২০ কেজি গমের দাম ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাকিস্তানে রীতিমতে দুর্দশার ছবি প্রকট হয়েছে। জিডিপির শতাংশ হিসেবে পাকিস্তানে সকরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালে পাকিস্তানে জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি ঋণ ছিল ৫২.৮ শতা্ংশ, ২০১৬ সালে তা উন্নীত হয়েছে ৬০.৮ শতাংশে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনুসারে ৭৭.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে তা।
Budget 2023: ব্ল্যাক থেকে রোলব্যাক! ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাজেট এবং তাদের নামকরণ