২০ লক্ষ বছর আগে মেরু প্রদেশেও ছিল প্রাণ, সন্ধান মিলল প্রাচীনতম DNA-এর
বিশ্বের প্রাচীনতম ডিএনএ-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। অন্তত ২০ লক্ষ বছরের পুরনো সেই ডিএনএ থেকে বোঝা যাচ্ছে উত্তর গ্রিনল্যান্ড অর্থাৎ মেরু প্রদেশেও তখন ছিল প্রাণ। সেই সময় ওই জায়গার উষ্ণতা কিছুটা বেশ ছিল। উদ্ভিদ ও প্রাণীর চিহ
বিশ্বের প্রাচীনতম ডিএনএ-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। অন্তত ২০ লক্ষ বছরের পুরনো সেই ডিএনএ থেকে বোঝা যাচ্ছে উত্তর গ্রিনল্যান্ড অর্থাৎ মেরু প্রদেশেও তখন ছিল প্রাণ। সেই সময় ওই জায়গার উষ্ণতা কিছুটা বেশ ছিল। উদ্ভিদ ও প্রাণীর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। মাটি থেকেই পাওয়া গিয়েছে সেই নমুনা।
বর্তমানে যে জায়গা ধু ধু করছে, একসময় সেখানেই যে প্রাণ ছিল, তা স্পষ্ট। ছিল গুল্ম জাতীয় গাছ, ছিল সামুদ্রিক প্রণীও। যে সময়টা প্রায় হারিয়ে গিয়েছে, এই ডিএনএ সেই সময়ের দরজা খুলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এত বছর আগে সেই প্রাণ ছিল যে, সেই সময়কার ফসিল বা জীবাশ্মও খুঁজে বের করা মুস্কিল। তাই সেখানকার মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই সময় যে সব প্রাণী ছিল, তাদের চুল, থুতু, বর্জ্য থেকেই এই ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মাটির মধ্যে মিশেছিল সেই সব নমুনা।
বর্তমানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তার মাধ্যমে ডিএনএ-র ভাঙা অংশ থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এসকে উইলারস্লেভ জানিয়েছেন, নয়া প্রযুক্তিতেই এটা সম্ভব হয়েছে। বুধবার নেচার পত্রিকায় সেই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
ওই গবেষক জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ বছর আগে ওই জায়গার আবহাওয়ার আচমকা পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রা প্রবল বেড়ে গিয়েছিল ওই অংশের। সেটা ঠাণ্ডা হতে অনেক সময় গেলে যায়। আর তাপমাত্রা কমে যাওয়ার জন্য ডিএনএ-গুলি এখনও সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সময় ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল, সেই সময় ওই এলাকা ছিল গাছে ভরা। যে সব প্রাণী অপেক্ষাকৃত গরম জায়গায় থাকে, তাদের বসবাস ছিল সেখানে।
এর আগে ১০ লক্ষ বছর আগের একটু ম্যামথের দাঁত থেকে পাওয়া ডিএনএ-কেই প্রাচীনতম বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার আরও পুরনো ডিএনএ-র সন্ধান পাওয়া গেল। এর থেকে পৃথিবীতে প্রাণ কীভাবে এসেছিল, কীভাবে পরিবর্তন হয়েছে, তার সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।