৯/১১-র বর্ষপূর্তিতেই নতুন তালিবান সরকারের শপথ, আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিতেই বাছাই কালা দিন?
৯/১১-র বর্ষপূর্তিতেই নতুন তালিবান সরকারের শপথ, আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিতেই বাছাই কালা দিন?
সরকার গঠন নিয়ে টালবাহান চলছিল গত কয়েদিন ধরেই। এমনকী একদফা বাছাইয়ের পর দলীয় শীর্ষপদেও এসেছে বদল। এমনকী রাষ্ট্রপতি পদ নিয়েও চলছিল দুই শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি। অবশেষে ৯/১১-র বর্ষপূর্তিতেই (anniversary of 9/11) সরকারের প্রতিষ্ঠা হবে বলে জানিয়ে দিল তালিবানেরা। এই ঐতিহাসিক দিনেই নেওয়া হবে শপথ। আমেরিকাকে (America) কড়া বার্তা দিতেই এই তালিবানদের (Taliban) এই নয়া সিদ্ধান্ত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
কী বলছে আমেরিকা
এদিকে নতুন তালিবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে বারেবারেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। তালিবান সরকার নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে হোয়াইট হাউস(White house)। কিন্তু তাতে যে তালিবানদের বিশেষ কিছুই এসে যাচ্ছ না তা তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড থেকেই পরিষ্কার। এমনকী পাল্টা আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিতেই ৯/১১-র কালো দিনকে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
লাদেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ফের স্বমহিমায় ফিরতে শুরু করেছে তালিবানেরা। দেশজুড়ে জারি হচ্ছে একাধিক ফতোয়া। সম্প্রতি ৯/১১ জঙ্গি হামলার পিছনে লাদেন যোগ নিয়েও নিজেদের নয়া তত্ত্ব খাড়া করেছে তালিবানি উগ্রপন্থীরা। তালিবানদের দাবি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে হামলার নেপথ্যে আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের কোনও ভূমিকাই নাকি ছিল না। যা নিয়ে কদিন আগেই বিস্তর চর্চা শুরু হয় আন্তর্জাতিক মহলে।
হাক্কানি গোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব
এবার একেবারে সরকার গঠনের জন্য ওই কলঙ্কিত দিনকেই বাছল তালিবানেরা। এদিকে গত ৭ তারিখ, হাক্কানি গোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করে তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছে কট্টর ভারত বিরোধী বলে পরিচিত হাক্কানি গোষ্ঠীর প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। এছাড়াও হাক্কানি নেটওয়ার্কের আরও ৩ জন ঠাঁই পেয়েছে মন্ত্রিসভায়।
কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ?
এদিকে নির্বাচিতও হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এই গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বরাদর। যদিও গনি বরাদরেরই শীর্ষ স্থানে বসার কথা ছিল। কিন্তু গোষ্ঠী টানাপোড়েনের কারণে আপাত ভাবে তা আর হচ্ছে না। এদিকে ইতিমধ্যেই আমেরিকার উল্টো পথে হেঁটে আফগানিস্তানের নতুন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। স্বীকৃতি দিয়েছে পাকিস্তান, রাশিয়াও।