করোনা মোকাবিলায় লকডাউন নয় অন্য ছক, কোন পথ নিল সুইডেন
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন নয় অন্য ছক, কোন পথ নিল সুইডেন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা বিশ্ব যখন লকডাউনের পথে হেঁেটছে তখন সুইডেন ধরেছে অন্যপথ। লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব নয় তারা ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে স্বাভাবিক রেখেছে জনজীবন। একে বিপদ রয়েছে জেনেও সেদেশের বিশেষজ্ঞদের দাবি, একমাত্র ইমিউনিটিই পারে করোনা ভাইরাসকে হারাতে। তাই দেশের প্রতিটি বাসিন্দার মধ্যে এই ইমিউনিটি শক্তিশালী করতে চান তাঁরা।
লকডাউন নেই সুইডেনে
করোনা দমনে লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নয় ইমিউনিটি মজবুত করাই একমাত্র পথ। এমনই মনে করেন সুইডেনের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দাবি করেছেন স্টকহোমের ২০ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার সকলের মধ্যে যাতে এই রোগ প্রতিরোধক শক্তি তৈরি করা যায় তার জন্যই লকডাউনের পথে হাঁটা হচ্ছে না। যদিও একে প্রবীণ এবং বৃদ্ধদের সংকট বাড়তে পারে। কারণ বৃদ্ধাশ্রম গুলিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু বাড়ছে। তারপরে আবার লকডাউন না রাখায় সেই সংক্রমণ বেশি করে তাঁদের শরীরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ সুইডেনে
সুইডেনের স্টকহোমে এই মুহূর্তে ১৫, ৩২২ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। স্টকহোমেই আক্রান্ত বেশি। সুইডেনের অন্যান্য অংশে তেমন সংক্রমণ ছড়ায়নি। যদিও ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডের তুনায় সুইডেনে সংক্রমণের আর অনেকটাই েবশি। এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে সুইডেনে মারা গিয়েছেন ১,৯৩৭ জন।
করোনা পরীক্ষায় জোর
সুইডেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে ২০,০০০ মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সুইডেন সরকার বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ জরি করেছে। বৃদ্ধ এবং প্রবীণদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট, বার, কাফে, নাইটক্লাব খোলা থাকলেও সীমিত সংখ্যক মানুষের আনাগোনা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৫০ জনের বেশি একটি জায়গায় কাউকে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। ১৬ বছর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুল খোলা রয়েছে।
আরও সংকট বাড়বে , করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ালেন মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান