বিশ্বজুড়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঝড়, ওমিক্রনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশ্বজুড়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঝড়, ওমিক্রনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা
চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই আফ্রিকার দক্ষিণাংশে খোঁজ মিলেছিল কোভিডের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের। এই স্ট্রেন ভবিষ্যতে চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও। এবার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণিত হচ্ছে যেন। সম্প্রতি ফের নতুন করে ওমিক্রন তথা কোভিডের কেস সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে৷
কোথায় কোথায় সংক্রমণ বাড়ছে?
দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইটালি সহ বিশ্বের একাধিক দেশে থাবা বসাতে শুরু করেছে ওমিক্রন। তবে কোভিডের নয়া এই স্ট্রেন আদৌ ডেল্টার চেয়ে বেশি ভয়ানক কিনা, তা এখনও বলা যাচ্ছে না৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপৎকালীন ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান বলেন, ' এখনও অবধি এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, যাতে বলা যায় ওমিক্রন মানবদেহে ডেল্টার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে৷ বাজারচলতি টিকাগুলির উচিত এটিকে প্রতিহত করা৷'
কাজে আসছে না WHO-র আশ্বাসবাণী!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যতই আশ্বাসবাণী দেওয়া হোক, বিশ্বের বহু দেশ এখন ভুগছে ওমিক্রনের প্রভাবে। প্রথমেই বলা যাক ফ্রান্সের কথা। ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লক্ষের বেশি মানুষ৷ ২০২০ তে অতিমারি আছড়ে পড়ার পর যা কিনা সর্বোচ্চ। গত এক সপ্তাহে এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে মারা গিয়েছেন ১০০০ জনের বেশি৷ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
ভয়াবহ সংক্রমণ ইংল্যান্ডে!
ইংল্যান্ডের
অবস্থাও
তথৈবচ৷
ওমিক্রনের
প্রভাবে
প্রত্যেকদিনই
সেদেশে
আক্রান্ত
হচ্ছেন
এক
লক্ষের
বেশি৷
শুক্রবার
ইংল্যান্ডে
আক্রান্ত
হন
১২২,১৮৬
জন।
মাত্র
চব্বিশ
ঘণ্টায়
আক্রান্ত
হন
১৩৭
জন।
সংক্রমণ বাড়ছে আমেরিকাতেও!
আমেরিকাতেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে কেসের সংখ্যা৷ প্রতিদিন প্রায় দু'লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন বাইডেন মুলুকে। সিডিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার মোট কেসের ৭৬ শতাংশই ওমিক্রনের ফলে হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা লক্ষ করেন সাম্প্রতিক কালে শিশুদের হসপিটালাইজেশনও বেড়েছে৷
ইতালিতেও বাড়চ্ছে ওমিক্রন পজিটিভের সংখ্যা!
ইটালিতে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন ২৪ হাজারের বেশি মানুষ৷ এর আগের দিন ৫৪,৭৬২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, মোট কেসের ২৮ শতাংশের জন্যই ওমিক্রন দায়ী।