মোদী-ডোভালের 'প্ররোচনা'কে মাথায় রাখতে হবে নতুন পাক সেনাপ্রধান বাজওয়াকে: পাক সংবাদপত্র
নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাজওয়াকে তাঁর চ্যালেঞ্জ সম্বন্ধে অবহিত করল পাক দৈনিক 'ডন'
পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান নিযুক্ত হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। বিদায়ী সেনানায়ক রাহিল শরিফের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আগামী ২৯ নভেম্বর রাহিল অবসর নেওয়ার পরে বাজওয়া কার্যভার গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তানের ষোড়শ সেনাপ্রধানকে কে নিয়ে সেদেশের বিশেষজ্ঞমহলের কী ধারণা? পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিক 'ডন'-এ শনিবার প্রকাশিত "চ্যালেঞ্জেস ফর দ্য নিউ আর্মি চিফ" নামাঙ্কিত একটি সম্পাদকীয়তে সেনাপ্রধান বাজওয়ার সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলি আছে তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন সাংবাদিক আব্বাস নাসির।
প্রথমত, নাসির জানান বাজওয়াকে ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানের সরকারের থেকে নানা তথ্য নিতে হবে যাতে নরেন্দ্র মোদী-অজিত দোভাল প্রশাসনের সীমান্তে "প্ররোচনামূলক" নীতির পাল্টা অবস্থান নেওয়া যায়। নাসিরের মতে, বাজওয়াকে মাথায় রাখতে হবে চূড়ান্ত সংঘাত এড়িয়ে কীভাবে ভারতকে জবাব দেওয়া যায়। নাসির সাবধান করে বলেন যে "ভারত-অধিকৃত" কাশ্মীরের লাগামহীন অশান্তি এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় রোজকার সংঘর্ষ নিমেষে এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে চূড়ান্ত সংঘাত বাধাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, নাসির বলেন নতুন পাক সেনাপ্রধানকে তাঁর পূর্বসূরির মতোই উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী মিশন (অপারেশন জার্ব-এ-আজব) চালিয়ে যেতে হবে।
তৃতীয়ত, বাজওয়াকে বালুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ দমনের দিকটিকেও মাথায় রাখতে হবে। এ ব্যাপারে লস্কর-ই-জাংভির উপরে নজর রাখা বিশেষ প্রয়োজন বলে জানান নাসির। পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ-এর মতো সংগঠনের উপরেও নজর রাখতে হবে বাজওয়াকে বলে জানান ডন-এর এই প্রাক্তন সম্পাদক।
২০০৮ সালের মুম্বইয়ের সন্ত্রাস হানার ঠিক অষ্টম বর্ষপূর্তিতে প্রকাশিত এই লেখাটিতে নাসির বলেন: "এই সংগঠনগুলির কার্যকলাপের জন্যে পাকিস্তানের সরকার এবং সেনাকে যে কোনও সময়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। আজকের এই উত্তপ্ত পরিবেশে মুম্বই হানার মতো কিছু একটা ঘটলে তার পরিণাম কী ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।"