১৬ বছরে ১০০টি মহিলা মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গ মর্গ রক্ষকের!
কেনেথ
ডগলাস,
বয়স
৬০।
হ্যামিল্টনের
বাসিন্দা
কেনেথ
ওহিওতে
একটি
মর্গে
কাজ
করতেন।
কেনেথের
দাবি
১৯৭৬
সাল
থেকে
১৯৯২
সালের
মধ্যে
মর্গে
রাতের
শিফটে
কাজ
করার
সময়
মর্গে
আসা
প্রায়
১০০টি
মহিলার
মৃত
দেহের
সঙ্গে
তিনি
যৌন
সংসর্গ
করেছেন।
নিজে
মুখে
একথা
স্বীকার
করেছেন
কেনেথ।
আদালতে কেনেথের দাবি কখনও মদের ঘোরে কখনও মাদকের ঘোরে রাতে ওই মৃতদেহগুলির মধ্যে থেকে বেছে বেছে কয়েকটি মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হত কেনেথ। তাঁর দাবি, নেশাগ্রস্ত থাকতেন বলেই এই কাজ তিনি করতেন। নেশাগ্রস্থ না থাকলে এ ধরণের অসুস্থ মানসিকতার কাজ তিনি কখনওই করতেন না।
তবে কেনেথ ডগলাসের স্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ বহুদিন আগে করেছিলেন, কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি তখন। কেনেথের স্ত্রী জানিয়েছেন, কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পরে তার গা থেকে মদ ও যৌন মিলনের একটা অদ্ভুত গন্ধ ছাড়ত।
নিউ ইয়র্ক ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেনেথ যে সমস্ত মৃতদেহর সঙ্গে যৌন মিলন করেছিল তাদের মধ্যে সে সময় অন্যতন ছিলেন ২৩ বছর বয়সি চার্লিন অ্যালিংয়।যেদিন তাঁকে খুন করা হয় সেদিন রাতেই থার সঙ্গে যৌন মিলন করেন কেনেথ। সেই সময় চার্লিন ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বাও ছিলেন। তবে ডগলাস তখনই ধরা পড়ে যায়, যখন ১৯ বছরের ক্যারেন রেঞ্জ-এর শরীরে ডগলাসের সিমেনের ডিএনএ পাওয়া যায়। আর ক্যারেনের হত্যাকারী ডেভিড স্টিফেন যখন আদালতে দাবি করেন, যে তিনি ক্যারেনকে শুধুই হত্যা করেছেন, ধর্ষণ করেননি। কিন্তু ময়নাতদন্তে খুন ও ধর্ষণ দুটোরই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার পর দোষী সাব্যস্ত হন কেনেথ। এই অপরাধের জন্য কেনেথের তিন বছর জেল হয়। পরে ২০১২ সালে তিনি ফের একই ধরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।