দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে এমএইচ৩৭০ : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ব্রিটিশ স্যাটালাইট কোম্পানি 'ইনমারসাট'-এর দেওয়া তথ্য থেকেই এই সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের কাছে ভারত মহাসাগরে শেষবার দেখা গিয়েছিল বিমানটিকে। তবে, কুয়ালামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার সময়ে বিমানটি কেন গতিপথ পরিবর্তন করে ভারত মহাসাগরের ওপরে চলে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বেজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী তালিকা অনুযায়ী ওই বিমানে পাঁচ ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। যারা কুয়ালালামপুর থেকে বিমানে ওঠেন। তাদের নাম চন্দ্রিকা শর্মা,প্রহ্লাদ শির্শদ,চেতনা বিনোদ কোলেকর, বিনোদ সুরেশ কোলেকর এবং স্বনন্দ বিনোদ কোলেকর।
ব্রিটিশ স্যাটালাইট কোম্পানি 'ইনমারসাট'-এর দেওয়া তথ্য থেকেই এই সিদ্ধান্ত
খবরটি যাত্রীদের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই খবর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ফেটে পরেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের পরিবার।
ক্রু আর যাত্রী মিলিয়ে ২৩৯জনকে নিয়ে ৮ মার্চ রওনা হয়েছিল এমএইচ৩৭০। কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং যাচ্ছিল। অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন চিনের নাগরিক। বিমান ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় আস্ত বিমানটি। বিমানের গতিপথ ধরে তল্লাসিতে কোনও কসুরই রাখেনি প্রশাসন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে চালানো হয় তল্লাশি। তল্লাসিতে একসঙ্গে পঁচিশটা দেশ।
কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, নাকি অপহরণ করা হয়েছে বিমানটিকে এই নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। একের পর এক উপগ্রহ চিত্র সামনে এনে দিয়েছিল চিন আর ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার উপগ্রহ দেখিয়েছিল দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ভাসমান বস্তু। তখন থেকেই এই বোয়িং বিমানের সলিল সমাধির ইঙ্গিতই জোরদার হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখেই মালয়েশিয়া প্রশাসন জানাল, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরেই সম্ভবত ভেঙে পড়েছে বিমানটি।
ক্রু আর যাত্রী মিলিয়ে মোট ২৩৯ জন ছিলেন ওই বিমানে।
<center><iframe width="100%" height="360" src="//www.youtube.com/embed/_i0yj8zhsPk?feature=player_embedded" frameborder="0" allowfullscreen></iframe></center>