ওষুধের চাহিদা মেটাতে লক্ষাধিক গাধা নিধন চিনে
ওষুধের চাহিদা মেটাতে লক্ষাধিক গাধা নিধন চিনে
চীনা
ওষুধে
গাধার
বিশেষ
অঙ্গ
থেকে
প্রাপ্ত
জিলেটিনের
চাহিদা
মেটাতে
লক্ষাধিক
গাধা
নিধন
করা
হচ্ছে
চিনে।
এই
অবস্থার
পরিবর্তন
না
হলে
দেশে
গাধার
অস্তিত্ব
মারাত্মক
বিপর্যয়ের
মুখে
পড়বে
বলে
আশঙ্কা
ওয়াকিবহাল
মহলের
একাংশের।
গাধার
শরীর
থেকে
প্রাপ্ত
এই
বিশেষ
জিলেটিনকে
চিকিৎসা
বিজ্ঞানের
ভাষায়
'এজিয়াও'
বলা
হয়।
অনিদ্রা,
সর্দির
মতো
রোগ
গুলির
ওষুধ
প্রস্তুতির
জন্য
এই
'এজিয়াও'
ব্যবহৃত
হয়।
আপাতত 'এজিয়াও' এর চাহিদা মেটাতে বর্তমানে প্রায় ৫মিলিয়নের কাছাকাছি গাধার চামড়া প্রয়োজন রয়েছে। আগামীতে এই শিল্পের চাহিদা সার্বিক ভাবে মেটাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের বর্তমান গাধার প্রায় অর্ধেক প্রয়োজন হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় অভয়ারণ্যের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, গত ছয় বছরে 'এজিয়াও' উপাদানটির চাহিদা ও দাম বৃদ্ধির কারণে এর উৎপাদন যা ২০১৩ সালে ছিল ৩,২০০ টন তা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫,৬০০ টন। পাশাপাশি শিল্পের কারণে চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতিবছর প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন গাধা নিধন করতে হয় বলে জানিয়েছেন ওই অভয়ারণ্যের এক কর্মকর্তা। এর জেরে চিনে গাধার সংখ্যা প্রায় ৭৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে পাশাপাশি বিদেশে বিশেষত এশিয়া আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকাতে এই শিল্পটির বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এই গাধা নিধনের ফলে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা জীবিকার ক্ষেত্রে পশুদের ওপর নির্ভরশীল তারা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানায় পশু বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। এই গাধার চাহিদা মেটাতে সারা দেশ জুরে চলছে বিশাল চোরাচালান চক্র, এমনকি গর্ভবতী, অসুস্থ, আহত গাধাও বাদ যাচ্ছেনা চেরা চালানকারীদের হাত থেকে। পশু স্বাস্থ্য দপ্তর এই অবলা পশুদের হত্যা করে ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়াকে তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছে, " চিনে গাধা আমদানি স্থগিত রাখা উচিত। "
পশু বিশেষজ্ঞ সংস্থা আরসিএইচএমের সদস্য মার্টিন জন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, " এই উপাদানের চাহিদা মেটাতে বিকল্প হিসেবে গোরু, শুয়োর, মুরগীর দেহ থেকেও জিলেটিন সংগ্রহ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, বিভিন্ন সামুদ্রিক শৈবালের ও ব্যবহার করে এই উপাদানের বিকল্প তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু বিকল্প না ভেবে শিল্পের দ্রুত প্রসারের স্বার্থে গাধার সমগ্র প্রজাতিকেই শেষ করে দিতে বসেছে চিন।"
মহারাষ্ট্রে তিন জোটের সরকার বেশিদিন স্থায়ী হবে না, দাবি নীতিন গডকরির