#মিটু-র জের? কোম্পানির কর্মীর সঙ্গে 'প্রেমের সম্পর্ক', চাকরি হারালেন বহুজাতিক সংস্থার সিইও
কোম্পানির কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর এর জেরেই চাকরি হারালেন ম্যাকডোনাল্ডের সিইও স্টিভ ইস্টারব্রুক। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ম্যাকডোনাল্ডের সিইও পদে ছিলেন তিনি।
কোম্পানির কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর এর জেরেই চাকরি হারালেন ম্যাকডোনাল্ডের সিইও স্টিভ ইস্টারব্রুক। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ম্যাকডোনাল্ডের সিইও পদে ছিলেন তিনি। রবিবার সংস্থার তরফে এই ঘোষণা করা হয়। ম্যাকডনাল্ডের কর্মীদেরও ইমেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। নতুন সিইও হিসেবে বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সদস্য তথা ম্যাকডনাল্ড আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ক্রিস কেম্পকিন্সকি নাম ঘোষণা করেছে।
বার্গার সহ অন্যান্য ফাস্টফুড পরিবেশন করা এই বহুজাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে তাদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ইস্টারব্রুক সংস্থারই এক কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি তাঁর এই ভুল স্বীকার করেছেন। এই বিষয়ে সংস্থাটির ম্যানেজমেন্ট বোর্ডে গত সপ্তাহের শুক্রবারই ইস্টারব্রুককে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। #মিটু মুভমেন্ট থেকে কোম্পানির ভাবমূর্তি বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত কি না, ত অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।
এই সিদ্ধান্তের পর ইস্টারব্রুক একটি মেল করে নিজের পদত্যআগের সিদ্ধান্ত জানান। সংস্থাকে লেখা মেলে ইস্টারব্রুক জানিয়েছেন, কোম্পানির মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে আমিও একমত, যে আমার এখন পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত। তবে সংস্থার কোন কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পের্ক জড়িয়ে পড়েছিলেন ইস্টারব্রুক তা জানায়নি ম্যাকডোনাল্ড। প্রাক্তন সিইও এই বিষয়ে নিজেও কিছু জানাতে চাননি।
দু'সপ্তাহ আগেই সংস্থাটি জানায়, স্টোরগুলিকে ঢেলে সাজানো ও প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য সংস্থার আয় ২ শতাংশ পড়েছে। তারপর থেকে সংস্থার শেয়ারও পড়েছে ৭.৬শতাংশ। ক্রেতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়েছে বলে সংস্থার এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। তবে এর সঙ্গে সিইও বদলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছে সংস্থার এক রিপোর্টে। অবশ্য এই বিষয়টি সামনে আসতে সংস্থার শেয়ারের দর আরও কমতে পাড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।