আফগানিস্তানে তালিবানি আগ্রাসনে কতটা প্রভাব বাংলাদেশে, ব্যাখ্যা করলেন মার্ক টুলি
আফগানিস্তানে তালিবানদের আগ্রাসন হলেও বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে পিছু হঠবে না। এমনটাই মনে করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী মার্ক টুলি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
আফগানিস্তানে তালিবানদের আগ্রাসন হলেও বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে পিছু হঠবে না। এমনটাই মনে করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী মার্ক টুলি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অগ্রগতিও বহাল থাকবে বলেই মনে করেন তিনি। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন আয়োজিত 'শক ওয়েভস অফ অ্যাসেসিনেশন : দক্ষিণ এশিয়া ১৯৭৫ শীর্ষক ওয়েবনিয়ারে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আরও বেশি ইসলামিক করার চেষ্টা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে।
বঙ্গবন্ধুর
হত্যাকাণ্ড
প্রসঙ্গে
মার্ক
টুলি
বলেন,
সঠিক
আন্তর্জাতিক
সহায়তা
ছাড়া
এধরনের
অভ্যুত্থান
সংগঠিত
হতে
পারে
না।
তিনি
বলেন,
'মুজিবের
সরকার
ছিল,
প্রো-ইন্ডিয়া,
প্রো-সোভিয়েত
এবং
প্রো-সমাজতান্ত্র।
সেই
সময়ে
বাংলাদেশে
দু-ধরনের
রাজনৈতিক
হাওয়া
ছিল।
একপক্ষ
চাইছিলেন,
পশ্চিমমুখী
সমাজতন্ত্র
ও
ভারত
বিরোধী
অর্থনীতি।
অন্যপক্ষ
চাইছিলেন
দেশে
আরও
বেশি
ইসলামিক
শাসন।
বাংলাভাষী
পূর্বতন
পূর্ব
পাকিস্তানে
ভারত-ভাগের
সময়
থেকেই
আলাদা
রাষ্ট্র
গঠনের
তাগিদ
শুরু
হয়েছিল
বলেও
মন্তব্য
করেন
তিনি।
একাত্তরে
মুক্তিযুদ্ধের
প্রত্যক্ষদর্শী
মার্ক
টুলি
বলেন,
বাঙালিরা
উর্দুকে
মেনে
নিতে
পারেনি।
রাষ্ট্রসংঘের
অধিবেশনে
বাংলায়
ভাষণ
দিয়ে
মুজিবুর
রহমান
বাংলাদেশের
রাষ্ট্রনেতা
হয়ে
ওঠেন।
ভারতের
সঙ্গে
বাংলাদেশের
বর্তমান
সম্পর্ক
খুব
ভাল
বলে
মন্তব্য
করে
বিখ্যাত
এই
সাংবাদিক
উভয়
দেশের
যোগাযোগ
ব্যবস্থার
উন্নয়নের
ভূয়সী
প্রশংসা
করেন।
তিনি
বলেন,
ভারত
চিরকালই
বাংলাদেশের
উন্নয়নে
সহায়ক
ভূমিকা
নিয়েছে।
কিন্তু
১৯৭৫
সালে
বঙ্গবন্ধুর
হত্যাকাণ্ডের
পর
রাজনৈতিক
অস্থিরতা
বাংলাদেশকে
অনেকটা
পিছিয়ে
দেয়।
পরে
অবশ্য
শেখ
হাসিনার
যোগ্য
নেতৃত্বে
আওয়ামি
লিগ
অর্থনৈতিক-সহ
বিভিন্ন
ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের
উন্নতি
করে
চলেছে।
৮৫ বছর বয়স্ক মার্ক টুলির জন্ম কলকাতায়। ১৯৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর কলকাতার ৬ নম্বর রিজেন্ট পার্কে জন্ম হয়েছিল তাঁর। ২০১৩ সালে সাতাত্তর বছর বয়সে তাঁর হাতে জন্মের শংসাপত্র তুলে দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। শুধুমাত্র ১৯৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর কলকাতার ৬ নম্বর রিজেন্ট পার্কে জন্ম এই তথ্যের ভিত্তিতেই তিনি কলকাতা পুরসভার কাছে জন্মের শংসাপত্র চেয়েছিলেন। অনাবাসী ভারতীয়ের তকমা পেতে এই বার্থ সার্টিফিটেক অত্যন্ত জরুরি ছিল। তবে ১৯৩৫ সালে রিজেন্ট পার্ক এলাকা টালিগঞ্জ পুরসভার অধীনে থাকায় তথ্য বের করতে বেগ পেতে হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। স্বাধীনতার পরে ১৯৫৩ সালে টালিগঞ্জ কলকাতা পুরসভার অধীনে আসে। জন্মের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পরে খুব খুশি হয়েছিলেন মার্ক টুলি।
প্রবল প্রতিরোধের মুখে তালিবানরা, তিন জেলা দখল বিরোধীদের