কর্ণগহ্বরে আরশোলা! 'কানের পোকা' বার করতে হুলুস্থুল দিনভর
সকালে ঘুম থেকে ওটার পরও সব ঠিকঠাক ছিল। কিছুক্ষণ পর থেকে ডান কানে ব্যথা শুরু হয়। ক্রমেই তা বাড়তেও থাকে। কোনও পোকা-টোকা কানে ঢুকল বুঝি এই ভেবেই ধড়াম করে খাট থেকে নেমে পড়েন হেনড্রিক।
ভ্যাকিউম ক্লিনার চালিয়ে কান থেকে ওই পোকা টেনে বের করতে যান হেনড্রিক
কী করবেন বুঝতে না পেরে ভ্যাকিউম ক্লিনার চালিয়ে কান থেকে ওই অজানা কিট বা পতঙ্গকে টেনে বের করার চেষ্টা করেন হেনড্রিক। ফলস্বরূপ, কানের যন্ত্রণা বেড়ে যায় দু-তিন গুণ।
কানের মধ্যে কিছু যে একটা ঢুকেছে তা ঠাহর করতে পেরেছিলেন ওই হেনড্রিক। কিন্তু বিষাক্ত কোনও মাকড়সা যদি হয়, বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ। ঝুঁকি নেওয়াটা ঠিক হবে না ভেবেই রুমমেটকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে হাসপাতালে পৌছন ওই যুবক।
তীব্র আলো ফেলে ডাক্তার দেখেন এক ২ সেন্টিমিটার লম্বা আরশোলা ওই যুবকের কর্ণগহ্বরে বিরাজমান। চিকিৎসক প্রথমে তেল ওষুধ দিয়ে কানের আরশোলা বের করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হেনড্রিক বুঝতে পারেন কানের ভিতরের আরশোলাটা নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এরপর চিমটে দিয়ে টেনে সেই সরস আরশোলাকে টেনে বের করেন চিকিৎসক। কানের ভিতর থেকে অত বড় আরশোলাকে বের করে বিস্মিত খোদ চিকিৎসকই। জানালের এর আগে কখনও কান থেকে এত বড় কোনও কীট পতঙ্গ এভাবে বের করা তো দূরে থাক অন্য কাউকে বের করতেও দেখেননি তিনি।
এই ঘটনায় এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছেন হেনড্রিক যে এবার থেকে কানে হেডফোন লাগিয়ে শোয়ার কথাই ভাবছেন তিনি।