রেস্তোরাঁর এসি থেকে কিভাবে তিনটে পরিবারে করোনা সংক্রমণ হলো জানুন
রেস্তোরাঁর এসি থেকে কিভাবে তিনটে পরিবারে করোনা সংক্রমণ হলো জানুন
জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল উহানে যখন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়, সেইসময় একটি পরিবার গুয়াংঝোতে নৈশভোজ সারতে এক রেস্তোরাঁতে গিয়েছিল। সেই পরিবার উহান থেকে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে এবং ওই পরিবারের এক সদস্য জানতেন না যে তিনি করোনা ভাইরাস বহন করছেন। একদিন পর ওই রেস্তোরাঁয় আসা ন’জনের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়।
ভাইরাস এসির মাধ্যমে ঘুরছিল রেস্তোরাঁয়
ভাইরাসটি রেস্তোরাঁর এয়ার কন্ডিশনারের পাইপ দিয়ে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং আশেপাশে বসে থাকা তিনটি পরিবারকে সংক্রামিত করেছিল যারা কখনও একে-অপরের সঙ্গে জড়িত নয়। যদিও রেস্তোরাঁয় আসা অন্য ৭৩ জন অতিথি ও রেস্তোরাঁর কর্মীরা সংক্রমিত হননি। কৌতুহল তৈরি করা এই চিনা রেস্তোরাঁটি চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের গবেষণাপত্রের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা নিয়ে গবেষণা করছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞরা এই সমাধানে এসেছেন যে তিন পরিবার সংক্রমিত হয়েছে তারা ‘এ পরিবারে'র এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা সংক্রমিত হয়। অন্য দুই পরিবার হল ‘পরিবার বি' ও ‘পরিবার সি'।
একটি পরিবার থেকে সংক্রমণ হয় দু’টি পরিবারে
২৪ জানুয়ারি গুয়াংঝোর একটি রেস্তোরাঁতে নৈশভোজে যায় ‘এ পরিবার'। ওইদিনই পরিবারের ৬৩ বছরের এক সদস্যের সর্দি-কাশি ধরা পড়ে এবং জ্বর হয় তাঁর। পরে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে রিপোর্টে। গবেষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, দু'সপ্তাহের মধ্যে ওই একই রেস্তোরাঁর ন'জন একই দিনে আসেন এবং তাঁদের শরীরেও করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়, যা উহান থেকে আসলে এসেছিল। ওই মহিলার চারজন আত্মীয় ছিলেন এবং অন্যরা ‘এ পরিবার'-এর টেবিলের উভয় পাশে বসেছিলেন। চিনের বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে এই সম্পর্কহীন পরিবারগুলির মধ্যে অবশ্যই রেস্তোরাঁ থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল যেখানে তারা ‘এ পরিবার' থেকে কিছুটা দূরে বসে ঘন্টাখানেক কাটিয়েছিলেন।
এসি থেকে ভাইরাস সংক্রমণ
গবেষকদের তদন্তে উঠে এসেছে যে রেস্তোরাঁয় এসি বসানো ছিল ‘সি পরিবার'-এর মাথার ওপর এবং এসি থেকে তিনটে টেবিলেই হাওয়া যাচ্ছিল দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ও ফিরে আসছিল। যেহেতু করোনা ভাইরাস জানুয়ারিতে উহানের বাইরে ছড়িয়ে পড়েনি, গবেষকদের বিশ্বাস উহানের ‘এ পরিবার' অন্য দুই পরিবারে এই ভাইরাস সংক্রমণ করেছে। জানা গিয়েছে যে গবেষকরা মনে করেন এই কেস এবং এই জাতীয় অন্যান্য ঘটনাগুলি সম্ভবত ডাইনিং প্যাটার্ন এবং মহামারি-পরবর্তী বিশ্বে খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করবে। চিনা গবেষকদের মতে, হাঁচি বা কাশির ভাইরাস বহনকারি ফোঁটা এসির মাধ্যমে রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং এক্ষেত্রে বায়ু প্রবাহের দিকনির্দেশ ছিল মূল অবদানকারী।
পালঘার নিয়ে অপর্ণা-অনুরাগদের আক্রমণ, লাইভ শোতেই এডিটর্স গিল্ড থেকে পদত্যাগ অর্ণবের