মার্কিন নীতিতে আমূল পরিবর্তন, হোয়াইট হাউজে ঢুকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পেন ধরলেন বাইডেন!
প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাকর্ডে পুনরায় যোগদানের ঘোষণা করলেন জো বাইডেন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা ভাইরাসের প্যানডেমিক পরিচালনার বিষয়ে তাঁর পূর্বসূরীর বিপরীতে হেঁটে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বাতিল করলেন তিনি।
প্রথম যে তিনটি অধ্যাদেশ দেন বাইডেন
ওভালে প্রেসিডেন্টের ডেস্কে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রথম তিনটি কার্যকরী আদেশে স্বাক্ষর করেন বাইডেন। প্রথমটি হল, ফেডেরাল প্রপার্টিতে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ববিধি বাধ্যতামূলক, দ্বিতীয়টি নিম্নবিত্ত সম্প্রদায়কে সমর্থন এবং তৃতীয়টি হল-প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পুনরায় যোগদান।
'আমাদের দীর্ঘ পথ যেতে হবে'
সাক্ষরের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'আমাদের দীর্ঘ পথ যেতে হবে।' সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে, তাঁকে উদ্দেশ করে ট্রাম্পের লেখা চিঠিকে 'অত্যন্ত উদার' বলে উল্লেখ করেছেন বাইডেন। আগামী দশদিনে এমনই আরও কয়েক ডজন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন।
আমেরিকা খুবই বিভক্ত
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকা খুবই বিভক্ত। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান ভোটাররা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত। আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আদর্শগত দিক থেকেই বিভাগজনগুলি নজরে পড়ছে। ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করেন শিক্ষিত সমাজের কথা। তারা পরিবেশ, জাতিগত অন্যায়, আন্তর্জাতিক বাধা-বিপত্তি প্রতিরোধে সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা বিশ্বাস করেন।
ডেমোক্র্যাট মূল্যবোধ
যদিও ঐতিহ্যবাহী রিপাবলিকানরা বিশ্বাস করেন মুক্ত বাজার, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা, রক্ষ্মণশীলতাকে। কয়েকজন মালিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে অভিজাত এবং ধনী ব্যবসায়ী। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুধাবিভক্ত জীবনধারা, বন্দুক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করা, রেডিও বার্তার প্রতি সহানুভূতি প্রবণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক ভাবে দেওয়া-নেওয়ার প্রবণতা, আইনের শাসনে বিশ্বাস, এবং সংবিধানকে বাড়তি মূল্য দেয়।