আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এবার সিএএ-এনআরসি তরজা, কাশ্মীর-অসম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বাইডেনের
কাশ্মীর-অসম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বিডেন
এবার কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুললেন আমেরিকার ডেমোক্রাট শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেন। একইসাথে এদিন তিনি কাশ্মীরের স্বাধিকারের পক্ষেও জোরদার সওয়াল করেন। এর জন্য ভারত সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এনআরসি ও নতুন নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়েও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাইডেন।
কাশ্মীরের মানুষের অধিকারের পক্ষে সওয়াল
এই প্রসঙ্গে বাইডেনের আমেরিকার মুসলিম-আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য যে সংগঠন রয়েছে তাদের প্রচার ওয়েবসাইট থেকে একটি বার্তাও পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, " কাশ্মীর বা অসমে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপগুলি দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের সাথে এবং বহু-জাতিগত এবং বহু-ধর্মীয় গণতন্ত্র বজায় রাখার সাথে সম্পূর্ণ ভাবেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। "
আমেরিকাতেও শুরু হিন্দু মুসলিম তরজা
এদিকে বাইডেনের এই বক্তব্যের পরেই আমেরিকাতেও চড়তে তাকে রাজনীতির পারা। বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একটি আমেরিকান হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তারা বাইডেনকে তাদের মতামত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বাইডেনের ওই প্রচারক দলের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
অসমের এনআরসি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ
একইসাথে মুসলিম আমেরিকানদের গোষ্ঠীর দ্বারা প্রকাশিত নীতিমালায় বলা হয়েছে "কাশ্মীরে মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের সরকারের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ রোধ, ইন্টারনেট বন্ধ করা বা গতি কমিয়ে দেওয়া ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞা গুলি গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকেই আরও দুর্বল করে তুলেছে" । এতে আরও বলা হয়েছে, "অসমের জাতীয় নাগরিক-পঞ্জী কার্যকর এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস করার মত ভারত যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে জো বাইডেন হতাশ হয়েছেন"।
বরাবরই ভারত-বন্ধু ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন বাইডেন
এদিকে কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর হিসাবে কাজ করেছেন জো বাইডেন। পাশাপাশি প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার অধীনেও আট বছর সহ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তখন থেকেই তার ভারতীয়-আমেরিকানদের সাথে একটা সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি তিনি বরাবরই নিজের ভারত-বন্ধু ভাবমূর্তিও বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এদিকে নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বাইডেনের এই বক্তব্যে ট্রাম্প তথা রিপাবলিকান শিবির থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে এখন সেটাই দেখার। পাশাপাশি মার্কিন রাজনীতি এই হিন্দু মুসলিম তরজা আসন্ন নির্বাচনে কতটা ছাপ ফেলে সেটা দেখার অপেক্ষাও করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
চিন, নেপালের পর ভুটানও ভারতের বিরুদ্ধে প্যাঁচ কষছে! সেচের জল নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ