ক্ষেপণাস্ত্র হানা, ২৯৫ জন আরোহী নিয়েই ধ্বংস হল মালয়েশীয় বিমান
স্থানীয় সময় ১২ টা ১০ নাগাদ বোয়িং-৭০০ বিমানটি আমসটারডাম থেকে কুয়ালা লামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ১৫ জন কর্মী সহ বিমানটিতে মোট ২৮০ জন যাত্রী ছিলেন। গন্তব্যে পৌছমোর কথা ছিল সকাল ৬ টা নাগাদ। কিন্তু তার আগেই রাশিয়ার সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এলাকার গ্রাবোভো নামে একটি গ্রামের কাছে মাটিতে পাওয়া যায় তার ধ্বংসাবশেষ। এই ঘটনায় প্রত্যকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিকেল ৪টে ২০ মিনিটেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানটির। (আরও পড়ুন)
এই বিমান দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানোতর। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই আক্রমণ চালিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন চলতি সংঘাতের আবহে গত কয়েক দিন ধরেই দু'দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমানে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে। যদিও রুশ প্রশসানের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এমএইচ ১৭ -এর পিছনে আসছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানটিও
তবে এর পাশাপাশি আর একটি সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তা হল, একই আকাশপথ দিয়েই যাচ্ছিল রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিমানও। সম্ভবত জঙ্গিদের নিশায় ছিল পুতিনের বিমান। কিন্তু ভুলবশত তার এমএইচ ১৭ কে আক্রমণ করে। বিমান দুটি খুব শীঘ্রই একে অপরকে অতিক্রম করার পর্যায়ে ছিল।
অন্যদিকে আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংস হওয়া বিমান এমএইচ ১৭ বিমানে কোনও ভারতীয় যাত্রী ছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। কিন্তু যে আকাশের বিমানের যে রুটে এইএইচ ১৭ কে ক্ষেপণাত্র ছুঁড়ে টেনে নামানো হয়েছে, সেই একই পথে থাকার সম্ভাবনা ছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান এয়ার ইন্ডিয়া ০০১ ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে (১১২২ জিএমটি) বিমানে ওঠেন। ৩ ঘন্টার মধ্যে তাঁর বিমানটি ডনেৎস্ক পৌছনোর কথা ছিল। বিমান পরিষেবা আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, যদিও প্রধানমন্ত্রীর বিমান সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু যে পথে প্রধানমন্ত্রীর বিমান যাওযার কথা ছিল তা ওই ধ্বংস হওয়া বিমানের একই 'করিডোর' ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিমানের রুট পরিবর্তন করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন পাইলট।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে ২৫০ জন কে নিয়ে রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার এমএইচ ৩৭০ বিমানটি। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বোয়িং বিমানটির।