For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

মাইল্ড স্ট্রোক সর্ম্পকে যা জানা জরুরি

বাংলাদেশে কারাবন্দী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা শনিবার জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া হয়তো মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশে কারাবন্দী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা শনিবার জানিয়েছেন, তাদের মনে হয়েছে কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া হয়তো মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একে বলা হয় ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। কিন্তু এই টিআইএ বা মাইল্ড স্ট্রোক আসলে কী?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অসিত বরন অধিকারী বলছিলেন, স্ট্রোক বলতে সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাকে বুঝানো হয়।

এটা দুই ধরনের হয়, একটা রক্তক্ষরণ জনিত বা হেমোরেজিক স্ট্রোক এবং আরেকটি হলো স্কিমিক স্ট্রোক, এতে রক্তক্ষরণ হয় না।

কি কারণে হয় মাইল্ড স্ট্রোক?

অধ্যাপক অধিকারী বলছেন, দুই ধরণের স্ট্রোকের কারণ আলাদা আলাদা।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি হয়তো মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন
Getty Images
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি হয়তো মাইল্ড স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন

স্কিমিক স্ট্রোকের কারণ হলো, মস্তিষ্কে যে রক্ত যায় তা ক্যারোটিড আর্টারী অর্থাৎ গলার ভেতর দিয়ে যায় যে সব রক্তনালী, তাতে চর্বি জমে। যে কারণে রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এর ফলে স্কিমিক স্ট্রোক হয়।

এই স্ট্রোক কত বড় হবে বা ক্ষয়ক্ষতি কত ব্যাপক হবে, তা নির্ভর করবে, রক্তনালী কতটা সংকীর্ণ হয়েছে, তার ওপর।

মাইল্ড স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কী?

অধ্যাপক অধিকারী জানিয়েছেন, ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক বা মাইল্ড স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হলো, অল্প সময়ের জন্য কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। সেটি ১৫ সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় রোগীর হাটতে হাটতে মাথা ঘুরতে পারে। বসা থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরতে পারে।

আর পরের দিকে, যখন সেরিব্রাল ইনফ্লাক্স হয়ে যায়, তখন রোগী অচেতন হয়ে পড়তে পারে। অবস্থা আরো খারাপ হলে সেই সঙ্গে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।

অন্যদিকে, হেমোরেজিক স্ট্রোকের লক্ষণ নির্ভর করে মস্তিষ্কে কতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে তার ওপর।

যদি অল্প রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে মাথাব্যথা, ভার্টিগো বা মাথা ঘোরা থাকবে। রক্তক্ষরণের পরিমাণ একটু বেশি হলে শরীরের কোন একটি অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে।

কিভাবে বোঝা যাবে মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে?

অধ্যাপক অধিকারী বলছেন, প্রাথমিকভাবে যদি দেখা যায় কোন আপাত সুস্থ মানুষ হঠাৎ হাঁটাচলায় ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, অথবা মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে, অথবা যদি দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের কোন অংশ হঠাৎ অবশ হয়ে গেছে,তাহলে বুঝতে হবে তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে।

এছাড়া হয়ত দেখা যাবে কেউ হঠাৎ হাত বা পা নাড়াতে পারছে না, কিংবা মুখটা এক পাশে বাঁকা হয়ে গেছে।

করণীয় কী?

লক্ষণগুলো দেখা মাত্র দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এরপর সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে দেখতে হবে এটা কি স্কিমিক স্ট্রোক না হেমোরেজিক স্ট্রোক।

আরো পড়ুন: খালেদা জিয়া কি 'মাইল্ড স্ট্রোকে'র শিকার হয়েছিলেন

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতিহীন বিমান রুট কোনটি?

অধ্যাপক অধিকারী জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয় খুব জরুরী। যত আগে চিকিৎসা শুরু হবে, রোগীর সুস্থ হবার সুযোগ তত বেশি থাকবে।

কিভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যাবে?

এতো গেল, আক্রান্ত হবার পরের কথা। কিভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যাবে?

যেকোনো ব্যক্তি যদি চর্বি জাতীয় খাবার ও ধূমপান এড়িয়ে চলে, হাইপার টেনশন থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, তবে অনেকটাই এড়ানো যাবে মাইল্ড স্ট্রোকের ঝুঁকি।

এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শারীরিক কসরত করতে হবে।

English summary
It is important to know about Mild Stroke
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X