শক্তি বাড়াচ্ছে লালফৌজ, সীমান্ত সংঘাতের আবহেই সেনার আধুনিকরণে বিশালাকার বাজেট বরাদ্দের পথে চিন
শক্তি বাড়াচ্ছে লালফৌজ, সীমান্ত সংঘাতের আবহেই সেনার আধুনিকরণে বিশালাকার বাজেট বরাদ্দের পথে চিন
গত ফেব্রুয়ারির বাজেটেই প্রতিরক্ষা খাতে অনেকটাই বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে ভারত। এমতাবস্থায় লাদাখে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফেরার মুখেই সেনার শক্তি বাড়াতে উঠেপড়ে লালগল চিন। সূত্রের খবর, আসন্ন অর্থবর্ষে দেশের বাজেটে শুধুমাত্র সামরিক খাতে ৬.৮ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চলেছে চিন। যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক বড় রেকর্ড বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তিন হাজর কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ বৃদ্ধি
আরও সহজ ভাবে বললে আসন্ন অর্থবর্ষে শুধুমাত্র সমরসজ্জা ও সেনার পিছনেই অতিরিক্ত ২০৮ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে চিন সরকার। শুক্রবারই চিনের অর্থমন্ত্রকের তরফে একথা বলা হয়েছে। এদিন বেজিংয়ে বার্ষিক ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সভার শুরুতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলা হয়। গত বছর এই হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। যা নিয়ো জোর চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কী বলছে চিনের অর্থমন্ত্রক ?
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিনের অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, " দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে আমরা বদ্ধপরিকরঠ। একইসাথে লালফৌজের আধুনিকরনের বিষয়টিও আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এই বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে আগামীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হাত ধরেই চিনের সামগ্রিক অর্থব্যবস্থাও উন্নতির দিকে এগোবে। " প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং জানিয়েছেন চলতি বছরেই কার্যত গরীব শূন্য হয়ে গিয়েছে চিন। এমনকী এখন সেখানে আর কোনও মানুষই সরকারি মাপকাঠি অনুযায়ী দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে না।
সেনার আধুনিকরণে জোর
এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরেই সামরিক বাহিনীতে বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে বেজিং। এমনকী ভারতের সেনার সঙ্গে লাদাখ সংঘর্ষের আবহে সেনার আধুনিকরনেও বিশেষ ভাবে জোর দেয় বেজিং। পাশাপাশি সামরিক বাজেটের পরিমাণে যথাযত ভাবে বিশ্বের দরবারে পেশ করার ক্ষেত্রে একাধিকবার অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে চিনে বিরুদ্ধে। বর্তমানে ২০ লক্ষ সেনা নিয়ে বিশ্বের সবথেকে বড় সামরিক বাহিনী চিন।
গত বছর সামরিক খাতে বরাদ্দ ১৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা
এদিকে গত বছর চিন সামরিক খাতে প্রায় ১৭,৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যাও সাম্প্রতিককালে অন্যতম বড় রেকর্ড বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রতি বছর দেশের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসই (এনপিসি) সামরিক খাতের এই বিশালাকার বাজেট ঘোষণা করে। অন্যদিকে লালফৌজে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশের কাছে আধুনিক সমরাস্ত্রের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে ভারতের মতো তৃতীয় বৃহত্তম সেনা বাহিনীও। আর সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই আন্তর্জাতি স্তরে নিজের ক্ষমতা জাহির করতেই চিনের এই ক্ষমতা বৃদ্ধি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের ভিন রাজ্যের শরিকদের নয়া 'সমীকরণ', আরজেডি, শিবসেনার বার্তা নিয়ে মুখ খুললেন অধীর