দক্ষিণ-চিন সাগরে পাল্টা শক্তি প্রদর্শনে নামছে চিন! সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা
আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের আবহেই দক্ষিণ-চিন সাগরে পাল্টা শক্তি প্রদর্শনে নামছে চিন
চিন-তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই দু-দিন আগে দক্ষিণ চিন সাগরে শক্তি প্রদর্শনে নামে মার্কিন নৌসেনা। 'সমুদ্রের স্বাধীনতার’ প্রতি জোর দিতেই এই মহড়া বলে মার্কিন বাহিনীর পক্ষে জানানো হয়। আমেরিকার এই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতেই এবার দক্ষিণ চিন সাগরে পাল্টা শক্তি প্রদর্শনে নামতে চলেছে চিনও, খবর এমনটাই।
আমেরিকাকে পাল্টা জবাব দিতে মাঠে নামছে বেজিং
মঙ্গলবার বেজিংয়ের তরফে এই বার্তাই জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে প্রবল চাপানৌতর শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির আঙিনায়। এমনকী চিনের সামুদ্রিক সুরক্ষা বিভাগের তরফে এই বিষয়ে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দু-দিন আগেই ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট নামের রণতরীর নেতৃত্বে এই নৌবহরটি সাগরে প্রবেশ করেছে। যা নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেজিং।
সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল
এমনকী মহড়া চলাচালীন দক্ষিণ-চিন সাগরের একটা বড় অংশে ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চিনের তরফে সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে শনিবারই চিনের আটটি বোমারু ও চারটি ফাইটার বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল। যা নিয়েও উত্তেজনা অব্যাহত। তার মধ্যে বেজিংয়ের পাল্টা শক্তি প্রদর্শনের খবর সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
চিনের চোখরাঙানির পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত তাইওয়ান
এদিকে চিনের চোখরাঙানির পাল্টা জবাব দিতে তাইওয়ান বিমানবাহিনীও পাল্টা প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের ফাইটার জেট আকাশে ওড়ায়। মোতায়েন করে দেয় মিসাইল সিস্টেমও। অন্যদিকে জে টেন, জে সিক্সটিন ছিল চিনা বিমান বাহিনীতে। যদিও সাফ তাইওয়ান জানিয়েছে, চিনের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রস্তুত তাঁদের বিমান বাহিনী। এমনকী মূল ভূখন্ডে পা রাখলেই তার যোগ্য জবাব দিতেও তারা প্রস্তুত।
আমেরিকার প্রস্তাবে বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করতে রাজি নয় বেজিং
অন্যদিকে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও তাইওয়ানের উপর কূটনৈতিক ও সামরিক চাপ বন্ধ করার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে চিনকে। বদলে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও সেসবে বেজিং যে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করছে না তা তাদের বর্তমান আচরণ থেকেই স্পষ্ট। এম্তাবস্থায় চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ-চিন সাগরে চিনের শক্তি প্রদর্শন আন্তর্জাতিক রাজনীতির আঙিনায় নতুন কী মাত্রা যোগ করে সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে না, আবার সরকার চালাবে, দিলীপকে কটাক্ষ অনুব্রতর