পাকিস্তান : মনের মানুষকে বিয়ে করার অপরাধে গর্ভবতী মহিলাকে পাথর ছুঁড়ে খুন করল পরিবারই
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছেন ওই মহিলার নাম ফারজানা পরভিন। ফায়জালাবাদের বাসিন্দা ছিলেন ফারজানা। কয়েক মাস আগে বাড়ির অমতে গিয়ে জারানওয়ালার মহম্মদ ইকবাল নামে এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। ফারজানার বাবা ও দাদা এই বিয়ে মানতে অস্বীকার করেন। এবং মহম্মদের বিরুদ্ধে ফারজানার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
ফরজানাকে সবচেয়ে বেশিবার আঘাত করে তাঁর বাবাই, পেটে লাথি মারে দাদারা
এদিন বিকেলে এই মামলায় স্বামীর পক্ষে সওয়াল করার জন্য নিজের জবানবন্দী দেবেন বলে ফারজানা পারভিন ও তার স্বামী মোহাম্মদ ইকবাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে আদালত খোলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় ফারজানার পরিবারের জনা ১৫-২০ সদস্য তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে আক্রমণ করে। প্রথমে হাওয়ায় গুলি চালিয়ে ইকবালের কাছ থেকে ফরজানাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় তাঁরা।
সেই চেষ্টায় অসফল হওয়ার পরইবাবা, দাদা-সহ বাকি সদস্যরা গর্ভবতী ফারজানা ও তাঁর স্বামী ইকবালকে লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন। এর পর ওই দুজনের উপর ইঁট বর্ষণ শুরু করে পরিবারের লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে ফরজানাকে সবচেয়ে বেশিবার আঘাত করে তাঁর বাবাই। বেশ কয়েকবার ফারজানার পেটে লাথিও মারে তার ভাইয়েরা। পরিবারের নৃশংসতায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ মাসের গর্ভবতী ফারজানার। ফারজানার স্বামী ইকবাল কোনওমতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে।
পুলিশসূত্রের খবর অনুযায়ী আদালত চত্ত্বরে অনেক লোক এই ঘটনার সাক্ষী হলেও হামলাকারীদের বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। ফারজানার বাবা ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিস। ফারজানার বাবা মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে দাবি করেছেন, পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্যই ফারজানাকে হত্যা করেছেন তাঁরা। এই হামলায় ফারজানার দুই ভাই ও তার এক ভাইপোও জড়িত ছিল। ওই ভাইপোর সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল।