সেই ৬৭ কাশ্মীরি পড়ুয়াকে মেধাবৃত্তি দিতে তৈরি পাকিস্তানি জঙ্গিরা
গত রবিবার এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। জেতে পাকিস্তানই। অভিযোগ, খেলা চলাকালীন ওই ৬৭ জন পড়ুয়া 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলে চিৎকার করছিলেন। খেলা শেষ হওয়ার পরও মিরাটের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রাতভর 'উৎসব' করেন। এর পর তাদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাসপেন্ড করা হয়। দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর আর্জি মেনে ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা তুলে নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এই ঘটনার জের সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসে পাকিস্তানেও। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তসনিম আসলাম বিষয়টিকে 'দুভার্গ্যজনক' বলে বর্ণনা করেন। এবার ময়দানে নামল নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া।
সংগঠনটির প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদ বলেছন, "ওদের জন্য পাকিস্তান গর্বিত। ওরা বিশ্বের যেখানে পড়তে যেতে চাইবে, সেই বাবদ মেধাবৃত্তি দেব আমরা। এই ঘটনা থেকে বোঝা গিয়েছে, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মানসিকতা। এটাও বোঝা গিয়েছে, কাশ্মীরিরা পাকিস্তানকে কতটা ভালোবাসে।" তাঁর আরও সংযোজন, "ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠায় বোঝা যাচ্ছে যে, ভারত কতটা গণতান্ত্রিক!"
এর আগে ইসলামাবাদের তরফে বলা হয়, "ওরা পাকিস্তানে এসে পড়াশুনো করতে চাইলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দরজা খুলে দেবে।" হাফিজ মহম্মদ সইদের মন্তব্য তাতে আরও হাওয়া দিল।