চাহিদা বাড়লেও করোনা লকডাউনের জেরে বিশ্বে কন্ডোম সংকট!
করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে ঘরবন্দি তিনশো কোটি মানুষ। কারণ মহামারী করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বের সব মহাদেশের অসংখ্য দেশ এখন লকডাউন। এর জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কারখানা। কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কন্ডোম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটিও। তাই বিশ্ব এখন কন্ডোম সংকটে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
১০ দিন ধরে মালয়েশিয়ায় বন্ধ কারখানা
গড়ে বিশ্বে উৎপাদিত প্রতি পাঁচটি কন্ডোমের একটি উৎপাদন করে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ক্যারেক্স। তবে লকডাউনের জেরে গত ১০ দিন ধরে মালয়েশিয়ায় তাদের তিনটি কারখানায় উৎপাদন কাজ বন্ধ। কারণ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মালয়েশিয়া সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশ লকডাউন জারি করেছে। তাই প্রায় সবকিছু বন্ধ রয়েছে দেশটিতে।
করোনার জেরে ১০০ মিলিয়ন কন্ডোমের ঘাটতিতে
এই লকডাউনের জেরে ইতোমধ্যে ১০০ মিলিয়ন কন্ডোমের ঘাটতিতে পড়ছে গোটা বিশ্ব। ক্যারেক্সের উৎপাদিত কন্ডোম আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করে ডিউরেক্স। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলসহ আরও অনেককে এই কোম্পানির কন্ডোম সরবরাহ করে।
বিপদের মুখে অনেক প্রকল্প
ক্যারেস্কের সিইও গোহ মিয়া কিয়াত এই বিষয়ে বলেন, 'আমরা গোটা বিশ্বের সর্বত্র কন্ডোমের ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি, যা ভীতিকর একটি বিষয়। আমার উদ্বেগ আফ্রিকার অসংখ্য মানবিক প্রকল্প বিপদের মুখে পড়বে। শুধু এক দুই সপ্তাহ কিংবা মাস নয় কয়েক মাস এ সংকট থাকবে।'
চিন ও ভারতেও বন্ধ কন্ডোম উৎপাদন
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কন্ডোম উৎপাদনকারী দেশ হল চিন। কিন্তু সেখান থেকেই করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় অনেক কারখানা এখনো বন্ধ। চিন আর মালয়েশিয়া ছাড়াও ভারত এবং থাইল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ কন্ডোম উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু ভারতেও এখন ২১ দিনের লকডাউন চলছে। থাইল্যান্ডেও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।