ম্যাঞ্চেস্টার বিস্ফোরণ: কনসার্টের উল্লাস থেকে বিস্ফোরণের আর্তনাদ, অভিশপ্ত রাতের ছবি ফোটোফিচারে
ম্যানচেস্টারের অভিশপ্ত রাতের বর্ণনা উঠে এল প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে।
অ্যারিনা গ্রান্ডের সুরের মুর্ছনায় তখন বিহ্বল কনসার্টে উপস্থিত দর্শক। চলছে উল্লাস , উচ্ছাস। আর হঠাৎই সেসময় বিভৎস আওয়াজ। তারপরেই আর্তনাদ, কান্না আর অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজে শোকের ছায়া মুড়ে ফেলল ম্যাঞ্চেস্টারের গোটা কনসার্ট চত্বর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২২ জন, আহত ৫০ জন।
ম্যানচেস্টারের অভিশপ্ত রাতের বর্ণনা উঠে এল প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে।
অভিশপ্ত সোমবারের রাত
চারিদিকে রক্তক্ষয়ী, ছিন্নভিন্ন মৃতদেহের মধ্যে দিয়ে তখন পালিয়ে বাঁচার চেষ্টায় কয়েক হাজার মানুষ। এররকমই একজন দর্শক ছিলেন গ্রে ওয়াকার। যিনি সোমবারের ভয়াবহ রাতে অ্যারিনা গ্রেন্ডের কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন সপরিবারে।
অপেক্ষা আর আক্ষেপ পরিজনেদের !
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তিনি ও তাঁর স্ত্রী, কনসার্ট চত্বরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন,যে কখন তাঁদের কাছে ফিরে আসবে তাঁদের মেয়ে। গ্রে -এর মতো অসংখ্য আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুবান্ধব এই মুহুর্তে তাঁদের পরিজনকে ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন।
বিস্ফোরণের বিভৎসতা
আরেক জন প্রত্যক্ষদর্শী বয়ানে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময়ে কেঁপে ওঠে, কনসার্টের গোটা ভবনটি । প্রচন্ড শব্দের তীব্রতা থেকে অনুমান করা যায়, যে এটি হামলা বা বিস্ফোরণ। বিভৎসভাবে ভেঙে চুরমার হতে থাকে ভবনটির কাঁচ। সঙ্গে জ্বলে ওঠে আগুন।
আহতের আর্তনাদ
বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ত্রাণকর্মীরা পৌঁছলে ভবন জুড়ে শুধু শোনা যায় কান্নার আতঙ্কের চিৎকার কোথাও বা কান্না। অনেকেরই গায়ে হাতে শার্পনেল ডুকে গিয়েছিল সেই রাতে। সেই অবস্থাতেই দৌঁড়ে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।