করোনা মহামারি বছরের শেষে ৮৬ মিলিয়ন শিশুকে দারিদ্রের দিকে নিয়ে যাবে, দাবি ইউনিসেফের
করোনা মহামারি বছরের শেষে ৮৬ মিলিয়ন শিশুকে দারিদ্রের দিকে নিয়ে যাবে, দাবি ইউনিসেফের
কোভিড–১৯ মহামারির অর্থনৈতিক পরিণতি এ বছরের শেষে ৮৬ মিলিয়নের বেশি শিশুকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউনিসেফের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। গত বছরের শেষের দিকে চিনের উহান শহর থেকে উৎপন্ন এই রোগ সারা পৃথিবীতে মহামারির আকার ধারণ করে।
দারিদ্র সীমায় ৬৭২ মিলিয়ন শিশু পৌঁছাবে
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়াই মহামারির কারণে পরিবারগুলি চরম আর্থিক কঠিনতার সম্মুখীন হবে এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে জাতীয় দারিদ্র্য সীমার নীচে বাসকারী মোট শিশুদের সংখ্যা বছরের শেষের দিকে ৬৭২ মিলিয়ন পৌঁছতে পারে। এই শিশুদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বসবাস করে উপ-সাহারা আফ্রিকায় ও দক্ষিণ এশিয়ায়। ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াতেও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি দেখা যাবে, ৪৪ শতাংশ শিশু দারিদ্রসীমায় পৌঁছাবে। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানে এই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ২২ শতাংশে।
শিশুদের জীবন বিপর্যস্ত হবে
ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েট্টা ফোরে বলেন, ‘কোভিড-১৯ জনিত কারণে পরিবারগুলি যে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হবে তার ফলে বিপর্যস্ত হবে শিশুদের জীবন। শিশুরা তাদের ন্যূনতম প্রয়োজন থেকে বঞ্চিত হবে। এই শিশুরা খাদ্যহীনতা এবং অপুষ্টির শিকার হবে। যা তাদের সারাজীবন হয়ে বেড়াতে হবে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যায় পড়বে এই শিশুরা। যাদের অধিকাংশই গরিব দেশের বাসিন্দা।' বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ কোটির বেশি শিশু দারিদ্র্যের কবলে। কোভিড-১৯ জনিত বিপর্যয় গতবছরের তুলনায় এই সংখ্যা এক ধাক্কায় আরও ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছে ইউনিসেফ।
কোভিড–১৯ মহামারি মানুষকে দারিদ্রে নামিয়ে আনবে
প্রায় ১০০ দেশের ওপর করা বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং আই এম এফ-এর সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যদিও করোনা মহামারি ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া অঞ্চলের বেশি ক্ষতি করেছে কিন্তু এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে দক্ষিণ এশিয়া এবং উপ-সাহারান অঞ্চলের অর্থনীতি। উল্লেখ্য, এর আগেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারি সারা পৃথিবী জুড়ে অন্তত ৬ কোটি মানুষকে অতি দারিদ্র্যে পৌঁছে দেবে। এক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের হিসেব অনুসারে কোনও ব্যক্তি দিনে ১.৯০ মার্কিন ডলারের কম খরচে জীবনধারণ করলে তাকে অতি দারিদ্র্য হিসেবে ধরা হয়। বর্তমান ভারতীয় মূল্যমানে যা দেড়শো টাকার কাছাকাছি।
পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে
এই শিশুদের রক্ষা করতে অবিলম্বে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা না করলে পরবর্তী সময়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবেনা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিৎ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ব্যয়বরাদ্দ আরও বাড়ানো। যাতে শিশুদের কোভিড-১৯ জনিত বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করা যায়।
বিজেপির পরিযায়ী অস্ত্র ভোঁতা করতে পাল্টা চাল মমতা সরকারের, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত