কোভিডের অতিমারীতে আমেরিকায় কমতে শুরু করেছে 'লাইফ এক্সপেক্টেন্সি', নয়া রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য
গত সাত দশকে এমন ঘটনা ঘটেনি আমেরিকায়। এক নয়া রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার অতিমারীর দাপটে কমতে শুরু করে দিয়েছে 'লাইফ এক্সপেক্টেন্সি'। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কোভিডের জেরে অসময়ে বহু কম বয়সির মৃত্যু। যার ফলে মানুষের আয়ুসীমার নিরিখে 'লাইফ এক্সপেক্টেন্সি' আমেরিকায় দেড় বছর কমে গিয়েছে গড়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এমন ঘটনা জানা গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ভিয়েৎনাম যুদ্ধে বা এইডস সংকটের মাঝে সেদেশ যে পরিস্থিতি হয়েছিল তার থেকেও দুর্বিসহ অবস্থা গত বছর হয় করোনার অতিমারীতে। এইডসের জেরে ২০১০ সালের মাঝ বরাবর সময় আমেরিকায় 'লাইফ এক্সপেক্টেন্সি' কমে যায়। প্রিন্সটনে ডেমোগ্রাফি সম্পর্কিত বিষয়ের অধ্যাপক নোরিন গোল্ডম্যান বলছেন যে, এই ঘটনা রীতিমতো খারাপ খবর।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি খানিকটা ঘটিয়েছে ভ্যাকসিনেশন। জানা গিয়েছে, কোভিডের মৃত্যপর কমিয়ে দিয়েছে টিকাকরণ। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যা পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে ২০২১ সালে পরিস্থিতি করোনার অতিমারীর মাঝেও একটু ভালো। দেখা গিয়েছে এপর্যস্ত আমেরিকায় যা মৃত্যু হয়েছে কোভিডের জেরে , তার ৪৩ শতাংশ ২০২১ সালে। ফলে পরিস্থিতি আপাতত সামান্য স্বস্তি দিলেও, তা আগামীতে কী নিয়ে আসতে চলেছে তা অজানা। সেদিক থেকে লাইফ এক্সপেক্টেন্সি একটি বড় দিক।
রিপোর্ট বলছে , করোনার জেরে আমেরিকায় লাইফ এক্সপেক্টেন্সি দেড় বছর কমে গিয়েছে। ১৯৪৩ সালের পর বার্ষিক পরিসংখ্যানের হিসাবে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। এর আগে এমন পরিস্থিতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হয়েছিল। তারও আগে ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ফলে ঘটে। সেই সময় প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ প্রায় একযোগে মারা গিয়েছিলেন।
মূলত 'লাইফ এক্সপেক্টেন্সি' একটি পরিসংখ্যানগত তথ্য়। যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে , একটি জায়গার হিসাবে নেওয়া হয়। মূলত, ধরে নেওয়া হয়, জীবনের কয়েকটি পর্যায় কাটিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গার শিশুরা, একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে , নির্দিষ্ট সময়ে কতদিন বাঁচতে পারে, তার হিসাবই হল লাইফ এক্সপেক্টেন্সি। দেখা গিয়েছে ২০২০ সালে এই লাইফ এক্সপেক্টেন্সি প্রবলভাবে পড়ে যায়। দেখা গিয়েছে আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গের থেকেও ল্যাটিন আমেরিকানদের লাইফ এক্সপেক্টেন্সি অনেকটাই কমেছে ।