করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে নিউইয়র্কে, ট্রাম্প আশার আলো দেখছেন
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে নিউইয়র্কে, ট্রাম্প আশার আলো দেখছেন
রবিবার আমেরিকার করোনা প্রাদুর্ভাব ও উৎস শহর নিউইয়র্কে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি আশার আলো দেখছেন। তিনি জানান যে করোনা ভাইরাসের কেস আমেরিকায় ধীরে ধীরে সমতলের পথে এগোচ্ছে এবং তিনি সুড়ঙ্গের শেষে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
পরিস্থিতি খারাপ হলেও আশার আলো দেখছেন ট্রাম্প
এটাকে ভালো চিহ্ন বলে ব্যাখা করলেও তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন যে মহামারিটি আমেরিকার কাছে চলে আসায় আরও মৃত্যু হতে পারে। দৈনিক করোনা ভাইরাস নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমেরিকা এই মহামারির শীর্ষে পৌঁছাবে।' তিনি জানান যে মাস্ক ও ভেন্টিলেটর সহ বেশি সংখ্যায় স্বাস্থ্য কর্মী ও সরবরাহ প্রয়োজন এমন রাজ্যগুলিকে তা পাঠানো হবে। প্রেসিডেন্টের করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্য দেবোরা বার্স বলেন, ‘ইতালি ও স্পেনে যেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সম্প্রতি অনেকটাই কমেছে, এই দুই দেশের পরিস্থিতি আমাদের আশা দেখিয়েছে যে আমাদের ভবিষ্যতও এরকম হতে পারে।' তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোপলিটন এলাকাগুলিতে যেখানে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে করোনার প্রকোপ দেখা গিয়েছিল আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেইসব অঞ্চল স্থিতিশীল হবে।'
আশার আলো দেখছেম মার্কিন উপদেষ্টা মহল
ডাঃ বার্কস ও ট্রাম্পরে সঙ্গে আশাবাদী ছিলেন অন্যান্য মার্কিন বিশেষজ্ঞরাও। এমনকী শীর্ষ উপদেষ্টা ডাঃ অ্যান্টনি ফৌসি, যিনি আগে স্বল্প মেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গী থেকে জানিয়েছিলেন যে সত্যিই এটা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তিনিও সকলের সঙ্গে একমত। ইতিমধ্যে মার্কিন সার্জন জেনারেল সতর্ক করেছেন যে এটি ‘বেশিরভাগ আমেরিকানদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং সবচেয়ে দুঃখজনক সপ্তাহ' হবে। তিনি রবিবার বলেন, ‘পার্ল হারবার ও ৯/১১ মুহূর্ত হতে চলেছে।' আমেরিকায় নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা ৩৩৭,২৭৪ ও কোভিড-১৯-এ মৃত্যু ৯,৬১৯ জনের। যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
নিউইয়র্কের অবস্থা
রবিবার নিউইয়র্কের গর্ভনর অ্যান্ড্রু কুমো জানিয়েছেন যে ৫৯৪টি নতুন মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,১৫৯টি। তিনি আরও জানান ১২২,০০০ জন নিউইয়র্কের বাসিন্দা এই মহামারি রোগে সংক্রমিত। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে হাসপাতালে যাঁদের ভর্তির প্রয়োজন ছিল সেরকম ৭৫ শতাংশকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩০ জনের।