বাইডেন-হ্যারিস জুটির হাত ধরে আমেরিকায় আসতে চলেছে বামপন্থা, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে সতর্কবার্তা
চলতি নির্বাচনে জো বাইডেন জিতলে আমেরিকা আর আগের মতো থাকবে না বলে মত ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এদিকে ডেমোক্র্যাট নেত্রী তথা নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে অতি বাম বলে কটাক্ষ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনকেও একই বিশেষণ ব্যবহার করে আক্রমণ শানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী।
'আমেরিকা আগের মতো থাকবে না'
এদিন ট্রাম্প এবিষয়ে বলেন, 'যদি বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস জেতেন তবে আমাদের দেশ আর কোনও দিনই আগের মতো থাকবে না। কারণ যদি তাঁরা জেতেন তাহলে দেশকে তাঁরা অতি বামপন্থার রাস্তায় নিয়ে যাবেন। জো বাইডেন কোনও সিদ্ধান্তই নেবেন না সেই প্রশাসনে। যদি সেটা তিনি করেনও, তা করার জন্যে খুব একটা দিন বেঁচে থাকবেন না তিনি।'
'কমলা নিজে প্রেসিডেন্ট হতে চান'
ট্রাম্প আরও বলেন, 'এই অসাধারণ মহিলা নিজে আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে চান। তবে আমার মনে হয় না সেটা তিনি হতে পারবেন। এবং এই কারণেও আপনাদের উচিত ঘুমন্ত জো বাইডেনকে ভোট না দেওয়া। যদি আপনারা চান যে কমলার হাতে ক্ষমতা চলে যাক, তাহলে করুন সেটাই, তবে না চাইলে বাইডেনকে ভোট দেবেন না।'
কমলা হ্যারিস নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব
মার্কিন নির্বাচন শুরুর আগেও সবাইকে অবাক করে নয়া ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খাড়া করে কমলাকে আক্রমণ করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, ৭৭ বছর বয়সী জো বাইডেন যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে দায়িত্ব গ্রহণের একমাসের মধ্যেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই গদিতে বসবেন কমলা হ্যারিস।
বার্নি স্যান্ডার্সের থেকেও বড় বামপন্থী কমলা হ্যারিস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারিসকে আখ্রমণ শানিয়ে আরও বলেন, 'যদি ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচিত হন, তাহলে জো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এই প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের থেকেও বড় অতি বামপন্থী হলেন কমলা হ্যারিস। যদি কমলা দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হন তাহলে তা দেশের জন্যে দুঃসংবাদ হবে। দেশের মহিলাদের জন্যেও তা বাজে খবর হবে।'
বাইডেন বনাম ট্রাম্পের লড়াই
উল্লেখ্য, এ বারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী কৌশল এবং দৃষ্টিভঙ্গী একেবারে আলাদা। আর্থিক নীতি হোক বা স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও বিষয় হোক বা আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় হোক বা শক্তি সংক্রান্ত কোনও নীতি হোক বা বিদেশ নীতি, সব ক্ষেত্রেই এ বারের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর দৃষ্টিভঙ্গী ও ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ট্রাম্প না বাইডেন, হোয়াইট হাউজ দখলের দৌড়ে এগিয়ে কে? কী বলছে প্রাথমিক বুথ ফেরত সমীক্ষা