হৃদপিণ্ড রক্ষায় কাজ কিডনি স্পেশালিস্টের! হার্ট ফেলিওরে নতুন দিশা চিকিৎসকের
ব্লাডপ্রেসারের রোগীর হার্ট ফেলিওর হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পর অনেক ক্ষেত্রেই ওই রোগীর ব্লাড প্রেসারের ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্লাডপ্রেসারের রোগীর হার্ট ফেলিওর হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পর অনেক ক্ষেত্রেই ওই রোগীর ব্লাড প্রেসারের ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক গিরিশ সিঙ্ঘানিয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্ত ভুল। ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
আমরা
সকলেই
জানি
হৃৎপিণ্ডের
কোনও
অসুখ
হলে,
কার্ডিওলজিস্টের
শরণাপন্ন
হতে
হয়।
কিন্তু
হৃৎপিণ্ডের
কাজ
পরিচালনা
করার
জন্য
একজন
কিডনি
স্পেশালিস্টের
কাজ
আছে।
আর
তা
করে
দেখিয়েছেন,
চিকিৎসক
গিরিশ
সিঙ্ঘানিয়া।
এব্যাপারে
তিনি
সচেতনতা
বৃদ্ধির
ওপরও
জোর
দিয়েছেন।
বিশ্লেষণের
মাধ্যমে
তিনি
দেখিয়েছেন,
রক্ত
চাপ
সঠিক
থাকলে,
হৃদযন্ত্র
এবং
কিডনির
কাজ
সঠিক
থাকবে।
রক্তচাপের ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ করাও চিন্তাভাবনার বিষয়। এমন কী রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরেই রক্তাচাপের ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকে বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা। রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে রক্ত সঠিকভাবে হৃদযন্ত্রে যেতে পারে না। ফলে পা ফুলে যায়। অনেক সময় পেটে ও ফুসফুসেও জল জমে যায়। কয়েক পা হাঁটলে কিংবা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে কষ্ট হয়।
সারা পৃথিবীতে হার্ট ফেলিওয়েরর ২.৬ কোটি রোগী রয়েছেন। যাঁদের ৪০ শতাংশই ভারতের।
চিকিৎসক সিঙ্ঘানিয়া তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন, রক্তচাপের ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ করলেই হার্ট ফেলিওর প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি আরও দেখিয়েছেন হার্ট ফেলিওরের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরে তাদের রক্তচাপের ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। চিকিৎসকের দাবি, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খেলে হার্ট ফেলিওরের জন্য বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। পাবমেড পাবলিকেশনে তাঁর এই রিসার্চ প্রকাশিত হয়েছে।
[ ইমরান খোঁজ রাখেন কাশ্মীরের মুসলিমদের! জানেন না চিনের মুসলিমদের কথা]
চিকিৎসক গিরিশ সিঙ্ঘানিয়া বর্তমানে সেন্ট ভিনসেন্ট ইনফার্মারি হাসপাতালে কর্মরত। তিনি দিল্লির মৌলনা আদাজ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী। নিজের কাজের জন্য এই চিকিৎসককে আমেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজির ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।