এবার হানাদার সাইক্লোন 'ইদাই'! বিধ্বস্ত আফ্রিকার তিনটি দেশ, প্রায় ১০০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
সাইক্লোন ইদায়ের হানায় বিধ্বস্ত আফ্রিকার তিনটি দেশ। সাইক্লোন হানার ৪ দিন পরে, মোজাম্বিকে হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান সেখানকার সরকারের।
সাইক্লোন ইদায়ের হানায় বিধ্বস্ত আফ্রিকার তিনটি দেশ। সাইক্লোন হানার ৪ দিন পরে, মোজাম্বিকে হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান সেখানকার সরকারের। সেখানে বহু গ্রাম জলের তলায়। দেহ ভেসে যাচ্ছে বন্যার জলে। জানিয়েছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নুসি বলেছেন, এটা দেশের মাটিতে অন্যতম বড় দুর্যোগ। দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকায় প্রায় তিন কোটি মানুষ সাইক্লোন ইদাইয়ের ধ্বংসাত্মক হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ইদাই ভারত মহাসাগরের দ্বীপ বিরায় আঘাত হানে বৃহস্পতিবার। প্রায় ১৭৭ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়েছিল। তারপর তা জিম্বাবুয়ে এবং মালাইতে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। তবে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে সময় লেগে যায় মোজাম্বিকে। কেননা সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয়।
রেডিও মোজাম্বিকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এখনও পর্যন্ত ৮৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত ১]
অন্যদিকে, তিন দেশ মিলিয়ে সরকারি ভাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০-র কাছাকাছি বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন জিম্বাবুয়ে, মালাই এবং মোজাম্বিক। পূর্ব জিম্বাবুয়েতে প্রায় হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে বিধ্বংসী আগুন! ক্ষতি কয়েক লক্ষের]
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘ এবং রেডক্রসের তরফে ত্রাণ সামগ্রি পাঠানো হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে খাবার ওষুধ পাঠানো হয়েছে সাইক্লোন প্রভাবিত এলাকাগুলিতে। মোজাম্বিকের চতুর্থ বৃহত্তম শহরে পাঁচলক্ষের বেশি মানুষের বসবাস ছিল। এই সাইক্লোনে পুরো শহরই কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।