উঠে আসছে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব! কী ভাবে চিনের উহানে ছড়াল করোনা ভাইরাস
উঠে আসছে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব! কী ভাবে চিনের উহানে ছড়াল করোনা ভাইরাস
বিশ্ব জুড়ে ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দু-একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলে, এই রোগটি এখনও উহানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বচ্ছ ধারনা রাখার বিষয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা গুজব। অনেক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে।
সায়েন্টিফির ম্যাগাজিন 'নেচার' আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধৃত করে বলেছে, চিন সরকার যে কেস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা অসম্পূর্ণ। গবেষকরা এখনও চেষ্টা করে চলেছেন এর সঠিক মডেল সম্পর্কে জানতে। পাশাপাশি এর উদ্ভূত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন।
গ্রহণযোগ্য তথ্য না থাকায় এসম্পর্কে ভুল তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের পাশাপাশি উঠে আসছে জৈবিক অস্ত্রের লিক হয়ে যাওয়ার তত্ত্বও। যা চিনবাসীরাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।
জৈবিক অস্ত্রের লিক হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব
চিনের হুবেই প্রদেশে উহান-এ যখন কার্যত মহামারীর আকাশ নিয়ে করোনা ভাইরাস, সেই সময়ে ঘুরপাক খাচ্ছে জৈবিক অস্ত্রের লিক হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকাও এসম্পর্কে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদেরই একটিতে প্রাক্তন এক ইজরায়েলি গোয়েন্দা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করছে উহানের পরীক্ষাগার থেকেই সন্দেহজনকভাবে বের হয়ে পড়েছে জৈবক অস্ত্র। যার জেরেই এই ঘটনা। উহানের পরীক্ষাগার বলতে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির কথাই বলা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে ইজারায়েলের প্রাক্তন গোয়েন্দাকে ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, চিনের সামরিক বাহিনীর জন্য উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিকে ব্যবহার করা হয়।
যদিও এসম্পর্কে কোনও স্বাস্থ্য সংস্থা এই রিপোর্টকে সমর্থনে এগিয়ে আসেনি।
গুপ্তচর বৃত্তিতে কানাডা যোগ
উঠে আসছে গুপ্তচর বৃত্তিতে কানাডা যোগের কথা। কানাডার উইনিপেগে ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব থেকে বহিষ্কৃত বিজ্ঞ়ানী দম্পতির কথাও উঠে আসছে। গতবছর তাঁদের এবং তাঁদের বেশ কয়েকজন ছাত্রকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে, এই চিনা দম্পতি করোনা ভাইরাস উহান ল্যাবে পাঠিয়েছিলেন।
ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব
পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর জানা যায়, দাবি করা হচ্ছে এসম্পর্কিত পেটেন্ট রয়েছে ইংল্যান্ডের পিরব্রাইট ইনস্টিউটের কাছে। ২০১৫ সালে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য পেটেন্টের আবেদন করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
যাঁরা যড়যন্ত্রের তত্ত্বে বিশ্বাসী তাঁরা বলছেন, ওষুধ কোম্পানির লাভের কারণেই পরিকল্পিত প্রাদুর্ভাব তৈরি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে বিল ও মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশনের নামও। এরাই নামিক পিলব্রাইড ইনস্টিউচ এবং ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের জন্য টাকা ঢেলেছিল।
ব্যাট স্যুপ
একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক চিনা মহিলা ব্যাট স্যুপ খাচ্ছেন। সেখান থেকেই অনেকেই বলছেন চিনের মানুষের খাদ্যের অভ্যাসের জন্যই এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।