বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন কোর্সের দরজা বন্ধ করল আমেরিকা
করোনা আবহে সম্প্রতি মেধাভিত্তিক নতুন অভিবাসন নীতির কথা শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের গলায়। পরবর্তীতে জুলাইয়ের প্রথমার্ধে অনলাইন কোর্সের পাঠরত বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য নতুন ঘোষণা করতে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস বিভাগকে। তাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া। যদিও পরবর্তীতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপে তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এবার আমেরিকায় অনলাইন কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মার্কিন প্রশাসন।
অনলাইন কোর্সের জন্য গ্রহণ করা হবে না নতুন শিক্ষার্থীদের
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী অনলাইনে পড়ার জন্য আর কোনও নতুন শীক্ষার্থীকে গ্রহণ করা হবে না আমেরিকায়। শুক্রবার এমনটাই জানানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন এন্ড কাসটম এনফোর্সমেন্টের এক নতুন বিবৃতিতে এমনটাই প্রকাশ করেছে ট্রাম্প সরকার। এদিকে করোনা আবহে করোনা আবহে গত কয়েক মাসে আরও কঠোর হয়েছে মার্কিন অভিবাসন নীতি। বাতিল হয়েছে এইচ১বি ভিসা। যার জেরে বিপাকে পড়ছেন আমেরিকায় বসবাসকারী ভারত সহ একাধিক দেশের পড়ুয়া, গবেষক, তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের একটা বড় অংশ।
ফেরত পাঠানো হবে বিদেশি পড়য়াদের ভিসা
এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাস সম্পর্কিত আমেরিকার নতুন সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়তে চলেছে দেশ বিদেশের বহু পড়ুয়াই। বর্তমান বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে সব পড়ুয়াদের আর কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস হওয়ার কথা ছিল তাদের প্রত্যেকের ভিসা আবারও ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমেরিকায় বাড়তে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ফের স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত
এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা আমেরিকায় নতুন করে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্প। করোনা আবহেই মার্কিন পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল, কলেজ যাতে আবার স্বাভিবিক ভাবে খুলতে পারে এবং প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে নিজস্ব ছন্দে স্কুল, কলেজ যেতে পারে সেই নতুন এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও রিপাপলিকান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভালো ভাবে দেখছে না ডেমোক্রাট শিবির।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতেই কি এই সিদ্ধান্ত?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তার আগে সব কিছু আবার স্বাভবিক দেখানোর জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও কিভাবে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে ফের স্কুল, কলেজ খোলা যাবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলির ওপরেই পুরোপুরি দায়ভার দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে এখনও কোনোরকন উন্তি হয়নি আমেরিকার করোনা পরিস্থিতির। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে বিয়াল্লিশ লক্ষে পৌঁছেছে।