ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনার নেপথ্যে রয়েছে চিনের এই কারসাজি
ইন্দো-চীন সীমান্তে দুপক্ষের গুলির লড়াই নিয়ে দুদেশের কূটনীতিই এখন চরমে। সীমান্তে ভারতের দুটি বাঙ্কার ওড়ানোর পর থেকে চিন ক্রমাগত নিজের সাফাইয়ে একের পর এক যুক্তি খাঁড়া করছে।
ইন্দো-চীন সীমান্তে দুপক্ষের গুলির লড়াই নিয়ে দুদেশের কূটনীতিই এখন চরমে। সীমান্তে ভারতের দুটি বাঙ্কার ওড়ানোর পর থেকে চিন ক্রমাগত নিজের সাফাইয়ে একের পর এক যুক্তি খাঁড়া করছে। তবে এই গোলাগুলির নেপথ্যে রয়েছে আরেক ঘটনা।[অরওপড়ুন:ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনার নেপথ্যে রয়েছে চিনের এই কারসাজি]
ভূটান সীমান্তের দোকলাম তরাইতে রাস্তা তৈরি করতে চলেছিল চিন। যে বিষয়টির কড়া প্রতিবাদ করে ভারত। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন তরজা তুঙ্গে চিন ও ভারতীয় সেনার। যা নিয়ে আপাতত ইন্দোচীন সীমান্তে দানা বাঁধছে উত্তেজনা। উল্লেখ্য, সিকিম-ভুটান-তিব্বত জুড়ে এই তরাই অঞ্চলে, চিন রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। এই রাস্তা নির্মাণের দ্বারা, চিন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থানের বিচারে সুবিধার জায়গায় থাকতে চেয়েছিল। রাস্তা তৈরি হলে তা সোজা সিকিম যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেত পারে। যা ভারতীয় প্রতিরক্ষার জন্য নেতিবাচক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করছে।[অরওপড়ুন:চিনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিকল্প যাত্রাপথে মানস সরোবরে তীর্থযাত্রীরা]
উল্লেখ্য, এই দোকলাম তরাই বা ডোডলাঙ তরাই ভুটানের অংশ। সেখানে নিয়মিতভাবে সেনা পাঠায় চিন। যাতে তারা এই ভূখণ্ডকে কব্জা করতে পারে। এমনই মত বহু বিশেষজ্ঞের। চিনের চুম্বি উপত্যকার সঙ্গে ভূটানের ডোডলাঙকে জুড়ে দেওয়ার জন্য তৎপর বেজিং। এই জায়গাটি যদি চিনের হাতে চলে যায, তাহলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর অনেক উঁচু অবস্থান থেকে নজরদারি চালাতে পারেবে চিনা সেনা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই জায়গা একবার যদি চিন কব্জা করতে পারে, তাহলে উত্তপ্ত দার্জিলিঙ -এ যাওয়ার রাস্তা তাদের কাছে সহজ হবে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর ৫০ কিলোমিটার দূর এই ডোডলাঙ তরাইয়ের থেকে। ফলে চিন , ভূটান সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করলে তা মোটেও ভালো ফল দেবে না ভারতের জন্য।