২০ বছর আগেই লাদাখ 'টার্গেট' ছিল চিনের! গালওয়ান-ছকেই এবার জাপানের সীমানায় নজর বেজিং এর
২০ বছর আগেই লাদাখ 'টার্গেট' ছিল চিনের! গালওয়ান-ছকেই এবার জাপানের সীমানায় নজর বেজিং এর
লাদাখ দখল কেবলমাত্র চিনের গত ৪-৫ বছরের লক্ষ্য ছিলনা। লাদাখে চিনের প্রবেশের থক গত ২০ বছর ধরে বেজিং ধীরে ধীরে করে গিয়েছে। অন্তত সাম্প্রতিক রিপোর্ট তাইই বলছে। উল্লেখ্য, প্রতিবেশীদের এলাকা দখল চিনের পুরনো 'শখ'! আর সেই ফর্মুলাতেই লাদাখে আজ চিন যা করছে, তাইই জাপানের দ্বীপেও করার চেষ্টা করেছে বেজিং। একনজরে দেখা যাক, দুটি ভিন্ন সংঘাতের ছক কীভাবে করেছে চিন।
মানচিত্র ও শান্তিবার্তা নিয়ে প্যাঁয়তারা
চিন ও ভারতের সেনারমধ্যে যখন শান্তি বার্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তখন বারবার ভারত মানচিত্র হস্তান্তরের প্রস্তাব রাখে। যা চিন কখনওই করতে চায়নি। এর নেপথ্যের কারণ বোঝা খুব সহজ। চিন কখনওই চায়নি যে , তাঁরা অন্যদেশের কতটা জমি দখল করছে , বা ভবিষ্যতে করতে চাইবে , তা বর্হিবিশ্ব জানুক। সেই মতো ভারতের সঙ্গে তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে সংঘাত জারি রেখেছে।
চিনকে বুঝতে ভুল করেছে ভারত?
এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চিন নিজের এলাকায় নজর দেওয়ার থেকে অন্য দেশের সীমানায় বেশি নজর দিয়েছে। লাদাখে চিন যেই বুঝতে পেরেছে যে , তা প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তখনই গালওয়ান দখলে আগ্রাসন দেখিয়েছে। বলা হচ্ছে, এমন আশঙ্কা যে ভারতের ছিল না তা নয়। তবে, চিন যে এভাবে তা বাস্তবায়িত করবে, তা বুঝে উঠতে পারেনি ভারতের কূটনীতি।
বিশ্বযুদ্ধের ধাঁচেই কি 'পক্ষ' তৈরি করছে আমেরিকা!
এদিকে, আমেরিকার সঙ্গে চিনের মূল সংঘাত বাণিজ্যগত। যা করোনার আবহে আরও চাগার দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, দক্ষিণ চিন সাগরে যে সমস্ত দেশ চিনের বিস্তারবাদ ও আগ্রাসনের শিকার , তাদের সঙ্গে আঁতাত গড়ছে আমেরিকা। ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশকে নিজের দিকে একটি 'পক্ষ' নিয়ে আসছে আমেরিকা। যা অনেককেকই বিশ্বযুদ্ধের সময়কার 'মিত্রশক্তি', 'অক্ষ শক্তি' র কথা মনে করাচ্ছে।
জাপানেও লাদাখ ধাঁচে চিনের আগ্রাসন!
পূর্ব চিন সাগরে কয়েকটি খালি দ্বীপ রয়েছে। যার দিকে চোখ পড়েছে চিনের। জাপানের সেনা সেই দ্বীপের কাছে যেতেই চিনের মাথার ঘাম পড়তে শুরু করেছে। এমনকি সেখানে জাপানের মাছ ধরার নৌকা গেলেও, তা নিয়ে জাপানের কাছে অভিযোগের চিঠি পাঠাচ্ছে চিন। এছাড়াও দক্ষিণ জাপানের নামের পরিবর্তন নিয়েও চিন অস্বস্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছে। যাকে পাত্তা দেয়নি জাপান। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও চিনের একচাই লক্ষ্য ...'বিস্তারবাদ'। আর তারজন্য লাদাখের ধাঁচেই জাপানের দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছে চিন।
দক্ষিণ চিন সাগরে দখলদারি
গোটা দক্ষিণ চিন সাগর দখল করতে চাইছে চিন। সেখানের সমস্ত দ্বীপ, ছোট ছোট 'কোরাল রিফ' সমস্ত কিছুতেই সার্বভৌমত্ব ফলানোর চেষ্টায় রয়েছে চিনয যা নিয়ে এবার সংঘাতের ময়দানে নামতে , অস্ত্রে শান দিচ্ছে আমেরিকা।
করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নয়! উপায় বাতলে দিলেন অধীর