বিস্তারবাদের মানসিকতায় বুঁদ চিন! জাপান-কোরিয়ার কাছেই সমুদ্রে যুদ্ধ অনুশীলন ড্রাগন বাহিনীর
বিস্তারবাদের মানসিকতায় বুঁদ চিন। ভারতের লাদাখ সীমান্তের পাশাপাশি চিন তাদের উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব সাগরের কাছে যুদ্ধ অনুশীলনে লিপ্ত হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরের পাাপাশি এই এলাকাটিও বিতর্কিত। এখানে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিবাদ রয়েছে চিনের। এলাকা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে তাই যুদ্ধ অনুশীলন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে চিন। এই মুহূর্তে লাল ফৌজ তিনটি ভিন্ন সাগরে যুদ্ধ অনুশীলন করছে।
চিন-মার্কিন উত্তেজনা
এর আগে ২৫ অগাস্ট একটি US U-2 রিকনয়েসান্স যুদ্ধজাহাজ উড়ে গিয়েছিল চিনের এয়ার স্পেসের ওপর দিয়ে যখন লাল ফৌজের সামরিক অনুশীলন চলছিল। এর পরদিনই ফের অন্য একটি অনুশীলনের ওপর দিয়ে উড়ে যায় US RC-135S এয়ারক্রাফট। অতীতে পাঁচটি U-2 প্লেন তাদের এলাকায় আসায় গুলি করে নামিয়েছে চিন।
বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়ায় ভারত-রাশিয়া
এদিকে দুইদিন আগেই বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়ায় যুদ্ধ কৌশল ঝালিয়ে নিল ভারত-রাশিয়া। রাজনাথের মস্কো সফর চলাকালীনই আন্দামান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চালায় ভারত ও রাশিয়া। দুই দিনের এই মহড়ার আজ দ্বিতীয় দিন। বঙ্গোপসাগরের মালাক্কা প্রণালীর কাছে এই মহড়া চালো হয় বলে জানা গিয়েছে।
মালাক্কা প্রণালীর কাছেই এই মহড়া
তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালাক্কা প্রণালীর কাছেই এই মহড়া চিনকে কড়া বার্তা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। তার থেকে বড় কথা কাভকাজ ২০-তে ভারত অংশগ্রহণ করবে না জানানোর পরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল যে, দিল্লি-মস্কো বন্ধুত্বে চিড় ধরবে। তবে এই নৌ মহড়ায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল, যে ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ়ই হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে মজবুত সম্পর্কের বার্তা
এই মহড়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আন্দামান সাগরের এই অঞ্চলেই আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে নভেম্বর মাসে মালাবার নৌ মহড়া চলবে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর ফলে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে রাশিয়ার সঙ্গে মজবুত সম্পর্কের বার্তা দিচ্ছে দিল্লি।
দক্ষিণ চিন সাগরের নিয়ন্ত্রণের লড়াই
লাদাখের উপর নজর দিতে গিয়ে যদি বেজিং দক্ষিণ চিন সাগরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তবে তা হবে তাদের জন্য এক বিশাল বড় ক্ষতি। সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চিন সমুদ্র সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিন সব সময়ই নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে৷ 'ঐতিহাসিক অধিকারের' উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর চিনের কর্তৃত্বকে ২০১৬ সালের সালিশির মাধ্যমে প্রত্যাখান করা হয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও এই দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপর থেকে নিজেদের নজর সরায়নি চিন৷
বিশ্বের ব্যস্ততম সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট
দক্ষিণ চিন সমুদ্র বিশ্বের ব্যস্ততম সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট৷ এই পথ দিয়ে বার্ষিক ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়৷ যার ফলে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র প্রতিবেশী অঞ্চলগুলির উপর নয়, একাধিক দেশগুলির উপরও এই সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটের প্রভাব রয়েছে৷ এছাড়া পূর্ব চিন সাগরে চিনের দাবিতেও ঝামেলায় পড়েছে আমেরিকা।
ইয়েলো সমুদ্র ও পূর্ব চিন সমুদ্রে সংঘাত
উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে চিনের ইয়েলো সমুদ্র ও পূর্ব চিন সমুদ্রের অর্থনৈতিক জোনগুলি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ তার উপরে চিন জাপানের সেনকাকু বা ডিয়াওইউ দ্বীপগুলির উপর কর্তৃত্ব দাবি করে৷ এই এলাকার মাধ্যমে আন্তঃঅঞ্চল ও বিশ্ব বাণিজ্য হয়৷ যার ফলে চিনের এই এলাকার উপর কর্তৃত্ব দাবি একাধিক দেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ তবে লাদাখ জিততে গিয়ে এই সাগর হারালে বেজিংয়ের মাথায় বাজ ভেঙে পড়বে।
লাদাখের চুশুল সেক্টরে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন চিনের! পাল্টা শক্তিবৃদ্ধি ভারতেরও