কাঠমাণ্ডুর মাঠে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের বিমান, মৃত ৫০, দেখুন ভিডিও
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে সময় এই ঘটনা ঘটে।
অবতরণের সময় ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান। কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন এয়ারপোর্টে ২.১৫টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই প্লেন দুর্ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী-সহ মোট ৭২ জন ছিল বলে জানা গিয়েছে। ১৩ জন যাত্রীকে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিমানের কর্মী।
#BREAKING #Nepal: A US-Bangla airlines aircraft has crashed in the eastern side of the Tribhuvan International Airport (TIA) in the #Kathmandu on Monday. Details yet to come. https://t.co/qsxgS4w3sG pic.twitter.com/ODr8L2xS9X
— Pradeep Bashyal (@pdpbasyal) March 12, 2018
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অবতরণের সময় প্লেনটি একটু কেঁপে ওঠে, এরপরই রানওয়ের কাছে একটি ফুটবল মাঠে গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ার সঙ্গেই সঙ্গেই বিমানে প্রবল জোরে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায়। জানা গিয়েছে বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নেমেছে আপতকালীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই সঙ্গে হাত লাগিয়েছে নেপাল আর্মি। আপাতত কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ছোট আকারের এই বিমানটি ইউএস-বাংলা নামে এক সংস্থার। মূলত মধ্য-প্রাচ্যে অসামরিক বিমান পরিবহণে কাজ করে এই বিমান সংস্থা।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অফ অথরিটি-র ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব গৌতম জানিয়েছেন, 'বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ অংশে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি উত্তর অংশের রানওয়ে নামার চেষ্টা করে। মনে হচ্ছে যান্ত্রিক গোলযোগে পাইলট শেষমুহূর্তেও বিমানকে সুষ্ঠু অবতরণের চেষ্টা করছিলেন। এই থেকে যান্ত্রিক গোলযোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।'
বিমানটি ফুটবল মাঠে গোত্তা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার পরই তাতে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। তারা প্লেনের একদম কাছে চলে গিয়েছিলেন। নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, সৌভাগ্য ক্রমে বিমানে নতুন করে বিস্ফোরণ হয়নি, এর ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। নাহলে ওই সব স্থানীয় মানুষরা বিপদে পড়তেন। যদিও, ওই মানুষগুলি তড়িঘড়ি ধ্বংস হওয়া বিমানের কাছে চলে গিয়েছিলেন বলে বেশ কিছু মানুষকে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।