বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হত্যা : ১৬০০ জনকে গ্রেফতার হাসিনা সরকারের
ঢাকা, ১১ জুন : একেরপর এক মুক্তচিন্তার অধিকারী ও সংখ্যালঘু মানুষদের হত্য়ালীলা চলছে বাংলাদেশে। আর এর বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ সরকার। এদিন সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১৬০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের সরকার।
গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের মধ্যে কট্টরপন্থী ভাবধারার বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত বলেও কয়েকজনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যরা যেমন রয়েছে, তেমনই জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রয়েছে।
বস্তুত গত কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে একের পর এক মুক্তচিন্তাকামী ব্লগার ও সমাজকর্মীকে খুন করছে মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুদেরও নিত্য়দিন খুন করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এক পুলিশকর্তার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। গত কয়েকদিনে এক মুদি দোকানের মালিক ও এক আশ্রমের কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে যায় দুষ্কৃতীরা। দুজনেই হিন্দু ছিলেন।
এর বিরুদ্ধেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতেই তৎপর হয়েছে হাসিনা সরকার। অপরাধীরা কেউ পার পাবে না। সকলকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই ঘটনার পিছনে আইএসআইএস বা আল কায়েদার মতো জঙ্গিদের হাত আছে বলে গুঞ্জন উঠলেও হাসিনা সরকার সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। দেশি-বিদেশি যে শক্তিই এর পিছনে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে ইসলামী মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে মোট ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে মুক্তচিন্তার লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগারদের পাশাপাশি হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের অনেকে রয়েছেন। হাসিনা সরকার এই নিয়ে কড়া কোনও পদক্ষেপ না করায় বহুবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছে। তবে অবশেষে বোধহয় ঘুম ভেঙেছে সরকারের। এখন দেখার এই হত্যালীলা বন্ধ হয় কিনা!