দেশজোড়া মন্দার মাঝেও লক্ষ্মী লাভ মুকেশের, বিশ্ব ধনী তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এলেন রিলায়েন্স কর্ণধার
করোনাকালেও বিশ্বজোড়া মন্দার মাঝেও আরও সমৃদ্ধ হয়েছে রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির ধন ভাণ্ডার। এমনকী দেশের অর্থনীতি হাল ক্রমেই বেহাল হয়ে পড়লেও একটানা লাভের মুখ দেখে চলেছে রিলায়েন্স। এমতাবস্থায় এবার বিশ্ব ধনী তালিকাতেও আগের থেকে আরও শক্তপোক্ত ভাবে জায়গা করে নিলেন এই ভারতীয় ধনকুবের। এমতাবস্থায় এবার নতুন চমকের কথা শোনাচ্ছে হুরুন।
ধনী তালিকায় ৮ নম্বরে মুকেশ আম্বানি
এদিকে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্লুমবার্গ সূচক অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় ১১ নম্বরে উঠে আসেন মুকেশ আম্বানি। এমনকী পিছনে ফেলেন স্পেনের সংস্থা 'জারা'-এর কর্ণধার অ্যামানসিও অর্তেগাকে।'হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট' অনুসারে বর্তমানে বিশ্ব ধনী তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুকেশ আম্বানি।
সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ
এমনকী গত এক বছরে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণও প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছে এই চিনা সংস্থা। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.০৯ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি ছাড়াও হুরুন তালিকায় জায়গা পেয়েছেন গৌতম আদানি, শিব নাদারের মতো ধনকুবেররা। এদিকে চিনে রয়েছে হুরুনের সদর দফতর। সেখান থেকেই মূলত এই সমীক্ষার কাজ চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনা ক্ষতি এড়িয়েও লাভের মুখ দেখেছে রিলায়েন্স
এমনকী গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু সময়েও বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনকুবেররা কোন অবস্থায় ছিলেন তারও তালিকা প্রকাশ করেছিল এই সংস্থা। তাতেই বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ধনীতম ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন চার ভারতীয়। অন্যদিকে করোনা মহামারির শুরুর দিকে প্রথম দুই মাসে আম্বানি সংস্থা ১৯ বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে ছিল।যদিও সময় যত গড়িয়েছে ততই ফুঁলেফেঁপে উঠেছে মুকেশের একাধিক ছোট-বড় সংস্থা।
কোন কোন স্থানে রয়েছেন অন্যান্য ভারতীয় ধনকুবেররা?
অন্যদিকে সদ্য প্রকাশিত তালিকায় মুকেশ আম্বানির সাথে রয়েছেন গৌতম আদানি। হুরুনের হিসাব অনুযারী যার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩৪ লক্ষ কোটি। তিনি শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন ৪৮ নম্বরে। অন্যদিকে শিব নাদার রয়েছেন ৫৮-তে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছুঁয়েছে ১.৯৪ লক্ষের গণ্ডি। পাশাপাশি আর এক ভারতীয় ধনকুবের লক্ষ্মী মিত্তল ১.৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির সঙ্গে রয়েছেন ১০৪ নম্বরে। অন্যদিকে সিরাম ইন্সস্টিটিউটের সাইরাস পুন্নাওয়ালা ১.৩৫ লক্ষ কোটির সম্পত্তি নিয়ে রয়েছেন ১১৩ নম্বরে।