ফ্রান্সের সাথে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে উগ্রপন্থীদের দাপট, লোন উলফ হামলার বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জ
ফ্রান্সের সাথে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে উগ্রপন্থীদের দাপট, লোন উলফ হামলার বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জ
করোনা আবহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। এবার ফ্রান্সে বিছিন্নতাবাদী শক্তি তথা উগ্রপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের আশঙ্কার সুর শোনা গেল রাষ্ট্রপুঞ্জের সুরক্ষ সংস্থার তরফ থেকে। যা নিয়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণেই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ
রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে বিগত কয়েক বছরের বিশ্বের একাধিক দেশে ক্রমেই বেড়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার ঘটনা। মাথাচারা দিচ্ছে উগ্রপন্থীরাও। আর এই সামগ্রিক অস্থিরতার পিছনে রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের একাধিক আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে ধর্মীয় সমস্যা প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জকে।
ইসলামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সুরক্ষা কমিশনের ব্যাংককের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে একটি অ্যাডাভাইজারিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে ফ্রান্সে হজরত মহাম্মদের ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ইসলামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গেও রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সুরক্ষা কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের। এমনকী এই ক্ষেত্রে বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে।
রীতুমতো শঙ্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জ
অন্যদিকে বিগত বছর গুলির পাশাপাশি চলতি বছরেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে বিশেষ একটি ঘরানার উত্থানের বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আমেরিকা হোক বা ব্রিটেন, ফ্রান্স হোক বা ভারত প্রতিক্ষেত্রেই লোন উলফ হামলার ছকেই এখন হামলা চালাচ্ছে উগ্রপন্থীরা। এর পিছনে অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও জঙ্গি সংগঠেনর হাত থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত আক্রোশকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী এই লোন উলফ হামলা ?
এশিয়া হোক বা ইউরোপ প্রতি জায়াগাতেই বর্তমানে এই লোন উলফ বা একাকী হামলার ধাঁছে হানা দিচ্ছে দুষ্কৃতিরা। আর এই ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করছে জেএমবি, লষ্কর-ই-তৈবা, জামাত-উল-মুজাহিদিনের মতো একাধিক ছোট বড় জঙ্গী সংগঠন। সংগঠিত না হতে পারলেও রেডিকেলাইজড বা উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতিরা নিজেরাই হামলা চালাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র না থাকলেও ট্রাক, ছুরি এমনকী হাতুরি দিয়েও হামলা চালাচ্ছে আততাতীরা। গত মাসেই ফ্রান্সে এরকম একাধিক ভয়াবহ ঘটনার নজির দেখতে পাওয়া যায়। যা নিয়েও রীতিমতো শঙ্কিত রাষ্ট্রপুঞ্জ।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ২৭০ সংখ্যাটি কেন গুরুত্বপূর্ণ! আমেরিকার ভোট গণিত একনজরে