লাদাখ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে লালফৌজের সমর্থন জোটানোর মরিয়া চেষ্টায় চিন! কেন এমন চলছে
চিনের জাতীয় মিডিয়া মূলত সরকার নিয়ন্ত্রিত। চিন জুড়ে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ এমনই যে, বিদেশী টিভি চ্যানেলে চিনের বিরুদ্ধে কোনও খবর সম্প্রচার হলে, সেই অংশটিকে স্তব্ধ করে বা কেটে দিয়ে , পরের অংশ থেকে ফের চালিয়ে তা সম্প্রচারিত করা হয় চিনে। এহেন চিন , এবার লাদাখ সংঘাত নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে জিনপিংয়ের জন্য সমর্থন আদায়ে ব্যস্ত!
চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্য়
উল্লেখ্য, চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৯৬২ সালের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে লাদাখ নিয়ে শিয়ের সমর্থনে মানুষে মত আদায়ের চেষ্টা চলছে। চিনের সরকারের প্রভাবে থাকা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে ১৯৬২ তে ভারত-চিন যুদ্ধে চিনের সেনা সর্বশক্তিমান হয়ে উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া আর্টিক্যালে লেখা রয়েছে, শান্তি প্রিয় লালফৌজ এখনও সেই শক্তি ধরে রাখলেও, বিপক্ষের সেনাকে মানবিক চোখে দেখে।
ভারতকে ঘিরে কী লেখা হচ্ছে?
চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় লালফৌজের প্রচার করা হচ্ছে একপাক্ষিকভাবে। আর তার সঙ্গে কার্যত ভারতকে 'ভিলেন' হিসাবে তুলে ধরে, লেখা হয়েছে , ভারতের উস্কানিতেই লাদাখ সংঘাত শুরু হয়েছে। চিন কেবল কাউন্টার অ্যাটাক করছে।
কেন মরিয়া চেষ্টা চিনের?
উল্লেখ্য়, লাদাখে গত ১৫ জুনের ঘটনা, এরপর ২৯ অগাস্টের ঘটনা ও সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর কার্যত লালফৌজ ব্যাকফুটে। ভারতের পেশী আস্ফালনেই চিনের অবৈধ প্রবেশ কার্যত ধাক্কা খেয়েছে। ফলে হারের লজ্জা ঢাকতে, ঘরের মানুষের কাছে জিনপিংয়ের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে চিন এমন প্রচার তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়া মারফৎ করছে।
কিভাবে ১৯৬২ এর যুদ্ধকে পেশ করা হয়?
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের যুদ্ধকে কার্যত চিনের মানবিক জয় বলে দাবি করা হয় চিনা সোশ্যাল মিডিয়া উইচ্যাটে। সেখানে বলা হয়েছে, ৬২ এর যুদ্ধে ভারতকে সহায়তা করতে এগিয়ে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকা। তবে এতবড় হুমকি ও জোটবদ্ধতার সামনে দাঁড়িয়েও চিন পিছু হটেনি। উল্লেখ্য, এমন সমস্ত বক্তব্য রেখেই ক্রমেই দেশের মানুষের কাছে লালফৌজের বীরত্ব তুলে ধরছে চিন। যাতে লাদাখে ব্যকফুটে থাকা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে কেউ চিনের সেনাকে বা সেনার সর্বময় কর্তা জিনপিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় না করায়!