বালাকোটে হামলায় শ'য়ে শ'য়ে জঙ্গি নিধন, নয়া তথ্য তুলে ধরলেন বিদেশি সাংবাদিক
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চালায় সেনা কনভয়ে। সেই হামলার পর ভারত পাকিস্তানের তিনটি জায়গার জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চালায় সেনা কনভয়ে। সেই হামলার পর ভারত পাকিস্তানের তিনটি জায়গার জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। সেই হামলার পর ভারতে তো বটেই সারা বিশ্বে হইচই পড়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বালাকোটে হামলায় কতজন জন জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে তা নিয়ে নতুন তথ্য তুলে ধরলেন এক বিদেশি সাংবাদিক।
স্ট্রিঙ্গারএশিয়ায় রিপোর্ট
ফ্রান্সেসকা মারেনা নামে সেই সাংবাদিক স্ট্রিঙ্গারএশিয়া সংবাদমাধ্যমে লেখেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার হামলায় ১৭০ জনের মতো জঙ্গি মারা গিয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে জইশ জঙ্গি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালায়। সেই হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন এতে যুক্ত বলে জানা যায়।
পরে ভারতের হামলা
তার পরে পাল্টা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে ভারত জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেই হামলায় এতজন জঙ্গির মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এদিন এই সাংবাদিক কতজন জঙ্গি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সেটাও খোলসা করে দিলেন।
জঙ্গিদের সরিয়ে নেওয়া
মৌলানা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার পরে মারেনা এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ভারত সেদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হামলা চালায়। তারপর ভোর ছটা নাগাদ পাকিস্তানি সেনা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পাকিস্তানি সেনা ওই হামলা স্থল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় অবস্থান করছিল। সেখানে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
জঙ্গি নিধনের সংখ্যা
সাংবাদিকের ব্যাখ্যা, ১৩০ থেকে ১৭০ জন জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছে। এর মধ্যে হামলায় আহত জঙ্গিরাও রয়েছে যারা চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মারা যায়। পাকিস্তানি সেনা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছিল। ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন জঙ্গি প্রশিক্ষক ছিল। এছাড়া অস্ত্র চালনায় পারদর্শী লোকজন ছিল। পাকিস্তান চেষ্টা করেছিল যাতে বায়ুসেনার হামলায় কতজন মারা গিয়েছে তা কোনওভাবেই প্রকাশ্যে না আসে। সেজন্য নিহত জঙ্গিদের পরিবার ও আত্মীয়দের মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল।
পাক সেনার নিয়ন্ত্রণে জঙ্গিরা
সাংবাদিক মারেনার কথায়, এই মুহূর্তে পাকিস্তানি সেনা জঙ্গিদের ঘাঁটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মৌলানা মাসুদ আজহারকে। এমনকী স্থানীয় পুলিশকেও সেই এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না পাক সেনা।