ভারত-আমেরিকার চিন্তা বাড়িয়ে বিধ্বংসী এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার প্রকাশ্যে আনল চিন
সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমশ নিজেদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে কমিউনিস্ট চিন! শুধু স্থলই নয়, এয়ারফোর্স এবং নৌবাহিনীকেও ক্রমশ মজবুত করে তুলছে। আর সেদিকে তাকিয়ে আরও আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ এবং আরও প্রযুক্তি নির্ভর সমরাস্ত্র প্রকাশ্যে আনছে।
সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমশ নিজেদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে কমিউনিস্ট চিন! শুধু স্থলই নয়, এয়ারফোর্স এবং নৌবাহিনীকেও ক্রমশ মজবুত করে তুলছে। আর সেদিকে তাকিয়ে আরও আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ এবং আরও প্রযুক্তি নির্ভর সমরাস্ত্র প্রকাশ্যে আনছে।
আর এর মধ্যেই সম্প্রতি চিন তাঁদের নৌবাহিনীর জন্যে সবথেকে বড় এবং আধুনিক এয়ারক্রাফট কেরিয়ার প্রকাশ্যে এনেছে। এটি সে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম aircraft carrier। এটির নাম fujian। যা রীতিমত আমেরিকা সহ সুপার পাওয়ার দেশগুলির কাছে চিন্তার কারন বলছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
শক্তিশালী aircraft carrier তো বটেই, প্রযুক্তি নির্ভরও বটে
নতুন করে চিনে বাড়তে শুরু করেছে করোনা'র সংক্রমণ। আর সেই কারণে সাংঘাইতে দীর্ঘ লকডাউন জারি রয়েছে। আর সেদিকে তাকিয়ে fujian-এর উদ্বোধন দুমাস দেরি করে করা হয়েছে। চিনের বাহিনী পিএলএ'র বর্ষপূর্তীর দিনে চিনের এই aircraft carrier-কে প্রকাশ্যে আনার কথা বলা জানানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে উদ্বোধনের দিন পরিবর্তন করা হয়। বলে রাখা প্রয়োজন, এটি চিনের অন্যতম শক্তিশালী aircraft carrier তো বটেই, প্রযুক্তি নির্ভরও বটে।
fujian রাখা হয়েছে এটির নাম-
চিনের সরকারি মিডিয়া এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। নয়া এই এয়ারক্রাফট কেরিয়ারটির নাম রাখা হয়েছে fujian। বলে রাখা প্রয়োজন, চিনের প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার- লিয়াওনিং, সোভিয়েত যুগের জাহাজের একটি পরিমার্জিত সংস্করণ। যা ২০১২ সালে চালু হয়েছিল। আর এরপর ২০১৯ সালে চিনের নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী 'শানডং' উদ্বোধন হয়। যা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে চিনের মাটিতেই তৈরি করা হয়েছিল। এবার চিনা নেভির হাতে আরও একটি এয়ারক্র্যাফট।
আরও আধুনিক হচ্ছে নৌবাহিনী-
চিনের এই নতুন যুদ্ধজাহাজটিকে প্রথম ড্রোন বিমানবাহী রণতরী বলে দাবি করা হচ্ছে। নয়া এই এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ারে চালকবিহীন নৌকা, ড্রোন এবং জলের নিচের যানবাহন সহ ৫০টি মানবহীন সিস্টেম বহন করতে পারে। চিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের নৌবাহিনীকে আধুনিক করা হচ্ছে। আরও এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার তৈরি করা হচ্ছে। চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ছাড়াও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও সেনাবাহিনীর প্রধান। ফলে তাঁর কার্যকালে দেশের তিনবাহিনীকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তো বটেই, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ক্রমশ উন্নতি করছে বেজিং।
জাল ছড়াচ্ছে চিন-
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চিন তাঁর ঘাঁটি তৈরি করছে। সেই মতো আফ্রিকার জিবুতিতে সেনাঘাটি তৈরি করছে তাঁরা। পাকিস্তান তো বটেই, শ্রীলঙ্কাতেও ইতিমধ্যে ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। যদিও চিনের গোটা ষড়যন্ত্রের উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।