আজব খবর, ভূতেরাও এখন টেক্সট মেসেজ পাঠাতে শিখেছে! প্রমাণও রাখলেন মনোবিজ্ঞানী
আজব খবর, ভূতেরাও এখন টেক্সট মেসেজ পাঠাতে শিখেছে! প্রমাণও রাখলেন মনোবিজ্ঞানী
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা ভূতকে নিয়ে আজব খবরে বিশ্বাস রাখি। আমরা ভূলে যাই যে, বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি। এখন বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। তাতে কি, আজও কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ভূতে বিশ্বাস রাখেন, ভূতকে নিয়ে নানা জিনিস বিশ্বাস করেন। ভূত, ভবিষ্যৎ বা বর্তমান- ভূত নিয়ে মানুষর নাড়াঘাঁটা একইভাবে চলেছে, চলছে এবং চলতেও থাকবে।
ভূতেরা টেক্সট মেসেজ পাঠায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বসবাসকারী একজন মনোবিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি অদ্ভুত দাবি করে বসেছেন। ওই মনোবিজ্ঞানী বলছেন যে, ভূতেরা এখন টেক্সট মেসেজ পাঠাতে শিখেছে। শুধু দাবি করেই তিনি ক্ষান্ত নন, তিনি তাঁর দাবির সমর্থনে প্রমাণও উপস্থাপিত করেছেন। এখন ভূতেদের টেক্সট মেসেজ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে বেশ চর্চা।
বার্তা পাঠিয়ে ভূত ভয় পায়
সম্প্রতি 'দ্য মিররে'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টিফেন রোসেটি নামে একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তাঁর পরামর্শদাতা এক অদ্ভুত এবং আজব দাবি করে বসেছেন। তাঁরা যে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। ভূত নিয়ে তাঁদের দাবি, ভূতেরা এখন টেক্সট মেসেজ পঠাতে পারে। তাঁদের দাবি, ভূত যাঁকে টার্গেট করে, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে তাঁদের ভয় দেখায়। মনোবিজ্ঞানী স্টিফেন রোসেটি আমেরিকার একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে টি প্রেসে প্রচারিত দ্য প্রেস এবং ল্যারি কিং লাইভ শোতে এ কথা বলতেও দেখা ও শোনা যায়।
ভূত যে সব লোকদের টার্গেট করে
স্টিফেন রোসেটি বলেন যে, ভূতেরা যে টেক্সট মেসেজ পাঠায়, তা তিনি এরকম তিনটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। যাঁদের কথা বলছি, তাঁরা সপ্তাহে প্রায় ২০টি ভূত তাড়িয়ে দেন, তাই মন্দ আত্মারা তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন যে, ভূতগুলি বেশিরভাগই উচ্চ পদশালী, ধনী বা শক্তিশালী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে।
ভূতের এক রহস্যময় শক্তি আছে
মনোবিজ্ঞানীর কথায়, ভূতের এমন শক্তি রয়েছে যে তারা পৃথিবীতে বিরাজ করতে পারে এবং হস্তক্ষেপ করতে পারে যে কোনও বিষয়ে। এটা নতুন কিছু নয়, এর পুরনো ইতিহাস আছে। অনেক সময় শোনা গিয়েছে এবং দেখা গিয়েছে যে, ভূতের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠে এবং বন্ধ হয়। এবং টিভিও চালু এবং বন্ধ হচ্ছে।
ভূতের টেক্সট মেসেজ যে কথা লেখা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ওই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ভূত একটি বার্তা পাঠিয়েছিল। সেই বার্তায় লেখা ছিল- যাজক ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছেন। তাঁর এই ব্যথা সারা রাত হবে। আমরা তাঁর রক্ত ঝরিয়ে দেব। স্বভাবকই এই বার্তা ভীতিপ্রদ। কোন ভূত এমন টেক্সট মেসেজ পাঠাল এবং কী তার উদ্দেশ্য তা নিয়ে চর্চা চলছে।