বাংলার অভিজিতের ফরাসী পত্নী এস্থারও সম্মানিত '২০১৯ নোবেল' -এ! অর্থনীতিবিদের উত্থানের কাহিনি একনজরে
রবিবাসরীয় মাঝরাত পার হতেই বাঙালির কাছে সুখবর এসেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের মসনদে মহারাজের অধিষ্ঠানের খবরে গোটা বাংলা এদিন সকাল থেকেই আপ্লুত। এরপর সোমবার বার-বেলা পা
রবিবাসরীয় মাঝরাত পার হতেই বাঙালির কাছে সুখবর এসেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের মসনদে মহারাজের অধিষ্ঠানের খবরে গোটা বাংলা এদিন সকাল থেকেই আপ্লুত। এরপর সোমবার বার-বেলা পার হতেই আসে বাংলার কাছে 'জোড়া-সুখবর'! 'অর্থনীতিতে নোবেলে জিতে ফের একবার জয়জয়কার বাঙালির' এমনই শিরোনামে উঠে আসে ২০১৯ নোবেল পুরস্কারে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবর। তবে, এর সঙ্গে যুগ্মভাবে সুখবর এসেছে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফরাসী স্ত্রী এস্থার ডাফলোর নোবেল জয়ের খবর! বাঙালি -ঘরনীর এই নোবেল জয় ১৪ অক্টোবরকে আরও আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এস্থার সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য।
এস্থারের শুরুর দিকে কাহিনি
১৯৭১ সালে প্যারিসে জন্ম ফরাসী অর্থনীতিবিদ এস্থারের। তাঁর মা ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। এস্থার বাবা সেই সময় ছিলেন নামী গণিতজ্ঞ তথা অধ্যাপক। আর এরকম এক পরিবার থেকে শিক্ষার বাতাবরণে বড় হয়ে ওঠেন এস্থা।
এস্থার ও তাঁর গবেষণার জগত
অভিজিতের মতো অর্থনীতি নিয়ে এস্থার জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে অমর্ত্য সেনের গবেষণা। মূলত , মাইক্রো ইকোনমিক্স নিয়েই কাজ করেছেন এস্থার। ১৯৯৪ সালে ইতিহাস ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হওার পর DELTA (প্যারিস স্কুল অফ ইকোনমিক্স) থেকে স্নাতোকোত্তর পাশ করেন এস্থা। এমআইটি থেকে এরপর ১৯৯৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। সেই সময় তাঁর সুপারভাইজার ছিলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ তথা অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি আজ সম্পর্কে এস্থারের স্বামী ।
এরপর এস্থার যাত্রা
গবেষণার প্রাথমিক দিক সম্পন্ন করেই এমআইটি-তে অর্থনীতি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রোফেসর হিসাবে যোগ দেন এস্থার। সেই সময়ে তাঁর কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যোগ ছিল প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির । যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে গণিত জগত থেকে নোবেলে সম্মানিত হয়েছিলেন গণিতজ্ঞ জন ন্যাশ। এস্থারের কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যোগ ছিল ব্য়াঙ্ক অফ রাশিয়ারও।
বাঙালি ঘরনী এস্থার
ষষ্ঠ দম্পতি হিসাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার ও অভিজিৎ। বাঙালি বধূ এস্থার সঙ্গে অভিজিতের বিয়ে হয়েছে ২০১৫ সালে। প্রসঙ্গত, এর আগে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় অরুন্ধতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যয়ের প্রথম পক্ষের সন্তানের মৃত্যু হয় ২০১৬ সালে। এরপর সেই বিবাহে বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে , ততদিনে অভিজিতের সঙ্গে পরিচয় হয় এস্থার। আর তা হয়েছে অর্থনীতিতে গবেষণা সূত্রে। এরপরই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। ও বিয়ে হয় এস্থার -অভিজিতের।
এস্থারের শিক্ষাক্ষেত্র ও গবেষণা
কলকাতার বালিগঞ্জে ফরাসী পুত্রবধূ এস্থারকে নিয়ে গর্বিত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা। জানিয়েছে, এস্থার বিয়ের আগে কলকাতায় এসে কতটা খুশি ছিলেন। সেই ফরাসী মেয়ে এস্থারের গবেষণার বিষয় ছিল উন্নয়নশীল দেশের মাইক্রোনমিক্স। বর্তমানে এস্থার আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর হিসাবে পরিচিতি। যে গবেষণাগারে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের গৃহস্থ পরিস্থিতি , দেশের নীতি নির্ধারণ, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি নিয়ে চলে গবেষণা।
[ দারিদ্র মোচনে কলকাতার ছেলে অভিজিতের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি]
[ অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি! অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়]