যোগীর নিশানায় সংবাদমাধ্যম! হাথরস কাণ্ডে পিএফআই যোগের অভিযোগে ১ রিপোর্টার সহ গ্রেফতার ৫
হাথরস কাণ্ডে পিএফআই যোগ? উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পথে এক সাংবাদিক সহ গ্রেফতার ৫
হাথরাস কাণ্ডে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গত কয়েক দিন ধরেই হাথরাসের নির্যাতিতার গ্রামটিকে কার্যত পুলিশি দুর্গ বানিয়ে রেখেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাংবাদমাধ্যমের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পুলিশ ঘেরাটোপে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে এক সাংবাদিক সহ আরও তিন ব্যক্তি।
ধৃত সাংবাদিকের সঙ্গে সিবিআই যোগ
সূত্রের খবর, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-র সঙ্গে যোগসাজস থাকার অভিযোগেই ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি থেকে হাথরাস যাওয়ার পথে একটি টোল প্লাজার কাছে তাদের আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এরপরেই কিছু সওয়াল জবাবের পরই তাদের আটক করা হয়। আতিক উর রেহমান, সিদ্দিক কপ্পান, মাসুদ আহমেদ ও আলম নামে এই চার সন্দেহভাজনের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং কিছু পত্রপত্রিকা পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ফের সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ যোগী সরকারের ?
পুলিশের অভিযোগ ‘মানুষের মধ্যে উষ্কানি ছড়িয়ে হাথরাসের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে ওই চার ব্যক্তি সেখানে যাচ্ছিলেন। তাই ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা' পরিস্থিতির যাতে নতুন করে অবনতি না হয় তা এড়াতেই এই গ্রেফতারি বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে বিবৃতি জারি করেও জানানো হয়েছে। বিরোধীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পর হাথরাস কাণ্ডেও বেছে বেছে ফের সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট' করা শুরু করেছে যোগী সরকার।
দ্রুত মুক্তির দাবি কর্মরত সাংবাদিকদের দিল্লি ইউনিটের
গ্রেফতার হওয়া চার ব্যক্তির মধ্যে সাংবাদিক সিদ্দিক কপ্পান আবার কর্মরত সাংবাদিকদের দিল্লি ইউনিটের কেরল ইউনিয়নের সম্পাদক বলেও জানা যাচ্ছে। হাথরাসের বর্তমান পরিস্থিতির উপর খবর করতেই মূলত তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন বলেও দিল্লির ওই সাংবাদিক সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে। একইসাথে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে তাঁর দ্রুত মুক্তিরও দাবি জাননো হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের পরেই পিএফআই-র পিছনে যোগী সরকার
এদিকে এর আগে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভেও যোগী সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রতিবাদ আন্দজোলন সংগঠিত করতে দেখা যায় পিএফআইকে। তারপর থেকেই এই সংগঠনটির পিছনে হাত ধুয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টাও চলছে বলে খবর। এদিকে এর আগেও সাংবাদিক সিদ্দিক কপ্পানের সঙ্গে পিএফআই যোগের খবর সামনে আসে। বেশ কিছু ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কাজকর্মেরও অভিযোগ আনেন। যদিও তারপর সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরকেই অভিযোগের পিছনে উপযুক্ত কারণ দর্শনোর জন্য আইনি নোটিশও ধরিয়েছেন সিদ্দিকি।
পাহারার কথা বললেও, বিড়াল মাছ নিয়ে পালাচ্ছে! ২০২১-এর আগে 'বেসুরো' আরও এক মমতা ঘনিষ্ঠ বিধায়ক