করোনা যুদ্ধে মোদী সরকারের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়ে ভারতকে ১০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
করোনার প্রকোপ তখনও সেভাবে প্রকট হয়নি দেশে। তবে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। এপ্রলি মাসের প্রথম সপ্তাহ তখন। সেই সময়, ভারতকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে যুঝতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই অনুদানের একমাস পর ফের ভারতকে ১০০ কোটি ডলার দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে এই নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ২০০ কোটি ডলার পেল ভারত সরকার।
মোদী সরকারকে আরও ১০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
এদিন বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, গরিব কল্যাণে নজর দিয়েছে ভারত সরকার। আর এই কারণে ভারত সরকারের সঙ্গে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চায় তারা। স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ভারত সরকারকে সাহায্য করতে এদিন ভারতে বিশ্ব ব্যাংকের ডিরেক্টর জুনেইদ আহমেদ জানান যে মোদী সরকারকে আরও ১০০ কোটি ডলার দেবেন তারা।
মোদী প্রশাসন নিয়ে কী বলেন জুনেইদ আহমেদ?
জুনেইদ আহমেদ এদিন বলেন, 'করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। এর জেরে ভারতের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়েছে। তবে এর মধ্যেও ভারত সরকার শুরু থেকেই গরিবদের কল্যাণে নজর দিয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার একটা সেতুবন্ধনের কাজ করতে চাইছে সরকার। আগে থেকেই দেশে যে পরিকাঠামো আছে, সেই জনধন, আধার এবং মোবাইল ব্যবহার করে সরকার পরিযায়ী শ্রমিক এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের উন্নয়নে নজর দিয়েছে।'
এর আগেও মোদী প্রশাসনকে ১ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক
এর আগে করোনা ভাইরাস নামক মারাত্মক এই ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে নরেন্দ্র মোদী প্রশাসনকে ১০০ কোটি ডলার দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তাছাড়া ২.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করার ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
কী খাতে ব্যবহার হবে টাকা?
এর আগে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্যে দেশজুড়ে ল্যাবরেটরি তৈরি করা, করোনা সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত রোগীদের উপর বিশেষ নজরদারি করতে আলাদা করে কেন্দ্র তৈরি করতে ব্যবহার হবে ওই বিপুল অর্থ।
করোনা পরিস্থিতিতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ
পাশাপাশি এই ভাইরাসকে দমাতে বৈজ্ঞানিকরা যে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন তার সহায়তা করার জন্যেও এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। এছাড়া স্ক্রিনিং, সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, টেস্টিং কিট এবং পিপিই কেনা এবং নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজেও লাগানো হবে এই অর্থ। আর এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভোগান্তি পোহানো শ্রেণীর জন্য খরচ করতে এই অর্থ সরকারকে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।