করোনা সংকটেই পদত্যাগ করতে হতে পারে উদ্ধব ঠাকরেকে! গদি বাঁচাতে সময় আর একমাস
উদ্ধব ঠাকরে যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, সেই সময় তিনি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছিলেন না। গদিতে বসার এত মাস পরেও তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি। রাজ্যের মসনদে উদ্ধব টিকে থাকতে পারবেন কি না এখন তা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির উপর। হাতে আর মাত্র একমাস সময়।
৩০ বছরের জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা
২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়া মহারাষ্ট্র নির্বাচন। সেই নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়। পরে বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের জুটি ভেঙে বেরিয়ে আসে তারা। কংগ্রেস ও শরদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গঠন করে সরকার।
নির্বাচিত সদস্য নন উদ্ধব ঠাকরে
এদিকে মন্ত্রী হতে গেলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে দায়িত্বগ্রহণের ছ'মাসের মধ্যে। উদ্ধব ঠাকরের ছ'মাসের সেই সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ মে। শাসক জোটের সিদ্ধান্ত ছিল উদ্ধব উচ্চ কক্ষে যোগ দেবেন এপ্রিলের নির্বাচনে জিতে। কিন্তু লকডাউনের ফলে নির্বাচনের সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রাজ্যপালকে শিবসেনার সুপারিশ
এখন তাই বিধানসভার সদস্য হতে গেলে রাজ্যপালের দ্বারা আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। রাজ্যপালের ক্ষমতা রয়েছে ১২ জনকে এই পরিষদের জন্য নির্বাচিত করার। পরিষদে দু'টি আসন এই মুহূর্তে খালি রয়েছে। মন্ত্রিসভা চাইছে, উদ্ধব ঠাকরের নাম সেই দু'জনের একজন হিসেবে ঘোষণা করুন রাজ্যপাল। তবে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীসভার এই সংক্রান্ত দু'টি সুপারিশ উপেক্ষা করেছেন।
শরিক এনসিপির বক্তব্য
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁরা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন এবং উদ্ধব ঠাকরেকে আইন পরিষদের সদস্য করে নেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু ১৮ দিন অতিক্রান্ত হলেও রাজ্যপাল এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।
এই বিষয়ে কী বলছেন আইনজ্ঞরা?
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার এই পরামর্শ মানতে কার্যত বাধ্য। যদিও এর বিপরীত মতও পোষণ করছেন অনেক আইনজ্ঞ। কারণ আইনসভার এই আশনগুলি অনেকটা রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনীত আসনের মতো। সেখানে সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখা মানুষদের মনোনীত করা হয়ে থাকে।