লখনউয়ে বিশ্ব হিন্দু মহাসভার সভাপতি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার স্ত্রী সহ ৩
লখনউয়ে বিশ্ব হিন্দু মহাসভার সভাপতি রঞ্জিত বচ্চনকে গুলি করে মারে আততায়ীরা। রবিবারের এই ঘটনায় লখনউ পুলিশ রঞ্জিতের স্ত্রী সমেত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ৪০ বছরের রঞ্জিত বিশ্ব হিন্দু মহাসভা তৈরি করেছিলেন। রবিবার সকালে লখনউয়ের হজরত গঞ্জের গ্লোবে পার্কে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। রঞ্জিততে মাথায় গুলি করে সেখান থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জিতকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লখনউ পুলিশ
রঞ্জিতকে গুলি করার পর তার ভাইকে লক্ষ্য করেও গুলি চালিয়েছিল আততায়ীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লখনউ পুলিশ। কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রধানকে হত্যার ঘটনা ঘটল। গতবছর অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশের লখনউয়েই নিজের বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন হিন্দু সমাজ পার্টির প্রধান কমলেশ তিওয়ারি।
খুনের সঙ্গে মৌলবাদী সংগঠনের হাত থাকার তদন্ত শুরু হয়
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, তাঁকে হত্যার নেপথ্যে মৌলবাদী সংগঠনের হাত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রঞ্জিতের দ্বিতীয় স্ত্রী স্মৃতি শ্রীবাস্তবের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হত না। ২০১৬ সাল থেকেই তাঁরা আলাদা থাকে। তাঁদের এখটি চির বছরের শিশুও রয়েছে। তবে ঝামেলার কথা জানতে পেরেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে স্মৃতির উপর।
অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃত রঞ্জিতের
পুলিশ জানায়, বচ্চন বেশ কয়েকটি মহিলার সাথে সম্পর্ক রেখেছিলেন। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি শ্রীবাস্তবকে বিয়ে করেছিলেন বচ্চন। কিন্তু তিনি যে ইতিমধ্যে বিবাহিত তা স্মৃতিকে তিনি জানাননি বলে অভিযোগ। শ্রীবাস্তব তাঁর প্রথম বিবাহ এবং তাঁর অন্যান্য সম্পর্কের কথা জানার পরে বচ্চন থেকে আলাদা হয়ে যান।
স্ত্রীকে মারধর করে রঞ্জিত
এদিকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি রাতে বচ্চন স্মৃতির সঙ্গে দেখা করে দাঁতের বিবাহ বার্ষিকী উজ্জাপনে জোর দিতে থাকে। স্মৃতি তাতে না মানলে মারধর সয্য করতে হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বচ্চনকে খুন করার পরিকল্পনা করে স্মৃতি। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি ভোরে জিতেন্দ্র ও দীপেন্দ্র নামের দুই ব্যক্তির সাহায্যে এই খুনকে পরিনাম দেন। এই তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।